২৪,০০০ শ্লোক সহ রামায়ণ রচয়িতা হলেন মহর্ষি বাল্মীকি। বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ রচনার মধ্যে একটি এই রামায়ণের পূজো করা হয়। কিন্তু আজ আমরা রামায়ণ নিয়ে নয়, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক এবং রামায়ণের রচয়িতা মহর্ষি বাল্মীকি কীভাবে ডাকাত থেকে রামায়ণের স্রষ্টা হলেন সে কথা জেনে নেব-
মহর্ষি বাল্মীকি শৈশব থেকেই সাহিত্যিক বা মহাত্মা ছিলেন না, মহর্ষি ছিলেন একজন ডাকাত ছিলেন। বিশ্বাস অনুসারে, মহর্ষি কাশ্যপের পরিবারে বাল্মীকির জন্ম। তাঁর মাতার নাম চরশ্নি এবং পিতার নাম ভৃগু ঋষি। ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম নেওয়া বাল্মীকিকে ভীল সম্প্রদায়ের কিছু লোক তুলে নিয়ে যায়। সেখানে আদিকবিকে রত্নাকর নাম দেওয়া হয়। সেখানে তাঁর কাজ ছিল চুরি-ডাকাতি।
একবার রত্নাকর ডাকাত নারদ মুনিকে বন্দী করে নিয়ে যান। নারদ তখন রত্নাকরকে জিজ্ঞাসা করলেন ' তুমি যে এইসব অন্যায় কাজ করছো, নিজের পরিবারের প্রতিপালনের জন্য, এই অন্যায়ের ভাগ কী তোমার পরিবার নেবে?'
জবাবে রত্নাকর বলেন, 'আমি আমার পরিবারের জন্য এই কাজ করি। তাঁরা কেন নেবে না এই অন্যায়ের ভাগ?' এর পর এই অন্যায়ের ভাগ কে নেবে সেই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে রত্নাকর তার পরিবারের কাছে যান আর বাড়ির সকল সদস্যকে জিজ্ঞেস করলে বাবা মা, স্ত্রী সকলে অস্বীকার করেন অন্যায়ের ভাগ নিতে।
এই ঘটনার জেরে রত্নাকর দুঃখিত চিত্তে নারদ মুনির কাছে আসেন। আর নারদ মুনির অনুপ্রেরণায় বছরের পর বছর শ্রীরামের তপস্যা করে বাল্মীকি মুনি হন।
আসলে মহর্ষি বাল্মীকির জীবন শুধুমাত্র একটি গল্প নয়, এটি আমাদেরকে ভালো পথে চলতে অনুপ্রাণিত করে। এটি একটি উদাহরণ।
No comments:
Post a Comment