বিসিসিআই-এর সভাপতি কে হবেন তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। ১৮ই অক্টোবর বিসিসিআইয়ের সাধারণ সভায় অনুষ্ঠিত হবে বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ ঘোষণা।
প্রাক্তন অধিনায়ক 'দাদা' সৌরভ গাঙ্গুলী এই পদে থাকলেও এখন নাম উঠে আসছে ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য রজার বিনির । তবে বিসিসিআই-এর সেক্রেটারি হিসেবে বহাল থাকবেন অমিত শাহর পুত্র জয় শাহ। বর্তমান সভাপতি হিসেবে সৌরভ গাঙ্গুলী এই পদে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, সৌরভ গাঙ্গুলীকে আইপিএল কমিশনারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি এই পদটি নিতে অস্বীকার করেছেন।
জানা গেছে মুম্বাইয়ে বিসিসিআই সভাপতির পদের দায়িত্ব রজার বিনিকে দেওয়া হবে এবং এর জন্য কোনও নির্বাচন হবে না। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে যে সৌরভ গাঙ্গুলী নির্বাচন করার দাবি জানিয়েছেন। ২০১৯ সালের অক্টোবরে বিসিসিআই-এর সভাপতি হন সৌরভ গাঙ্গুলী। তাঁর মেয়াদ ছিল মাত্র ৯ মাস। কিন্তু বিসিসিআই-এর গঠনতন্ত্রের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে থাকায় তিন বছর এই পদে ছিলেন দাদা।
তবে এই নিয়ে টিএমসির মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'আমরা এই বিষয়ে সরাসরি কিছু বলছি না। কারণ সৌরভ গাঙ্গুলীর দলে যোগ দেওয়ার জল্পনা ছড়িয়েছিল বিজেপি। সৌরভ গাঙ্গুলী আর বিসিসিআই সভাপতি না হওয়ার পেছনে রয়েছে রাজনীতি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ দ্বিতীয়বারের মতো সচিব হিসাবে এই পদে অধিষ্ঠিত হবেন কিন্তু সৌরভ গাঙ্গুলী তা করতে পারবেন না।'
অমিত শাহের নাম না নিয়ে এই টিএমসি নেতা আরও বলেছেন যে কেন্দ্রের বড় মন্ত্রীরা মে মাসে দাদার বাড়িতে ডিনারে গিয়েছিলেন। তবে সৌরভ গাঙ্গুলী পরিষ্কারভাবে বলতে পারবেন কী হচ্ছে।
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডক্টর শান্তনু ঘোষও টুইটারে বলেছেন, 'রাজনৈতিক প্রতিহিংসার আরেকটি উদাহরণ। অমিত শাহের ছেলে আবার সচিব পদে বসতে পারেন কিন্তু সৌরভ গাঙ্গুলী নন। এটা কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য থেকে আসার কারণে নাকি বিজেপিতে যোগ না দেওয়ার কারণে?
অন্যদিকে, বিজেপির জাতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। দিলীপ ঘোষ বলেন, 'কবে সৌরভ গাঙ্গুলিকে বিজেপিতে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা হয়েছিল তা আমরা জানি না। তবে তৃণমূলের উচিৎ প্রতিটি বিষয়কে নিয়ে রাজনীতি করা থেকে বিরত থাকা।'
No comments:
Post a Comment