দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে অন্যতম সুন্দরী ও নামকরা অভিনেত্রী ছিলেন বনমালা দেবী। সাফল্যের শিরে এসেও সব ছেড়ে দিতে বাধ্য হন তিনি। তাঁর ছোট জীবন কাহিনী জেনে নেওয়া যাক -
বনমালা ১৯১৫ সালের ২৩ মে গোয়ালিয়রের রাজপরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা কর্নেল রায় বাহাদুর বাপুরাও পানওয়ার ছিলেন ব্রিটিশ রাজে শিবপুরীর কালেক্টর। উজ্জয়নীতে থাকাকালীন তিনি রয়্যাল সর্দার ডটারস স্কুলে পড়াশোনা করেন। তিনিই প্রথম মহিলা যিনি ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন।
মায়ের মৃত্যুর পর, বনমালা দেবী কাকিমার সাথে পুনে গিয়ে সেখানে এক উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতে শুরু করেন। আর ভাগ্য চক্রে সেই স্কুলে হিন্দি সিনেমার সাথে যুক্ত বিখ্যাত ব্যক্তিদের আসা যাওয়া ছিল। আর সেই সূত্রেই তাঁর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে চলচ্চিত্রে যাওয়ার ডাক আসে।
প্রথমে অস্বীকার করলেও কয়েক মাস পর বনমালা রাজি হন। ১৯৪০ সালের প্রথম মারাঠি চলচ্চিত্র লপান্ডব চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এরপর সোহরাব মোদী সিকান্দার সিনেমার জন্য নায়িকা হিসেবে তাঁকে বেছে নেন।
সিকান্দার একটি ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র ছিল এবং এতে বনমালা রাতারাতি তারকা হয়ে ওঠেন। এছাড়াও অনেক হিট ছবি দেন তিনি। আর ঠিক সেই সময় রিগ্যাল থিয়েটারে তাঁর বাবা তাঁকে পর্দায় দেখার সাথে সাথে রেগে গিয়ে পর্দায় গুলি চালিয়ে দেন।
এর পরে পরিবার বনমালার সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে এমনকি তাঁর গোয়ালিয়রে আসাও নিষিদ্ধ করে। বনমালাকে শর্ত দেওয়া হয় পরিবারের সাথে সম্পর্ক রাখতে হলে সিনেমা জগৎ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে।
সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে গিয়েও বনমালা সোনালি ভবিষ্যৎ ছেড়ে মুম্বাই থেকে গোয়ালিয়রে চলে আসেন। বাবার পীড়াপীড়িতে বনমালা ফিরে আসলেও পড়ে সংসারের মোহ ত্যাগ করে বৃন্দাবনের একটি আশ্রমে সাধ্বী হয়ে জীবন কাটান তিনি।
No comments:
Post a Comment