যে কোনও দেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ হুমকি মোকাবেলায় অনেক তদন্তকারী সংস্থা কাজ করে। আমাদের দেশেও এমন তদন্তকারী সংস্থা রয়েছে, যারা দেশকে সুরক্ষিত রেখে অত্যন্ত সতর্ক ও গোপনে দুর্নীতি ও অবৈধ কার্যকলাপ মোকাবেলা করে। সীমান্তে অবস্থানরত দেশের সৈনিক এবং দেশের অভ্যন্তরে সাধারণ পুলিশ ছাড়াও এই সব সংস্থাই দেশকে বড় ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা করে। চলুন জেনে নেই সেই সব সংস্থার সম্পর্কে এবং তাদের কাজ সম্পর্কে -
এগুলি হল প্রধান গোয়েন্দা ও তদন্তকারী সংস্থা-
ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (IB)
সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)
জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)
গবেষণা ও বিশ্লেষণ শাখা (র)
ন্যাশনাল কাউন্টার টেরোরিজম সেন্টার (এনসিটিসি)
ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স গ্রিড (NATGRID)
জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরো (NCRB)
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি)
গোয়েন্দা ও তদন্তকারী সংস্থার কাজ:
বিভিন্ন সংস্থার কাজের ধরন আলাদা। অনেক সংস্থা দেশের অভ্যন্তরে শান্তি বজায় রাখতে তাদের ভূমিকা পালন করে।
ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (IB)
আইবি হল গোয়েন্দা সংস্থা। এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে আসে। এই গোয়েন্দা তদন্ত সংস্থা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নজর রাখে। দেশের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে আইবি।
সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই):
সিবিআই একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলি ছাড়াও, সিবিআই জটিল ফৌজদারি মামলাগুলিও তদন্ত করে। সিবিআই কর্মী ও প্রশিক্ষণ বিভাগের অধীনে কাজ করে।
জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA):
২০০৮ সালের মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলার পর ৩১ ডিসেম্বর এই সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই সংস্থা অত্যন্ত গোপনে দেশের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
গবেষণা ও বিশ্লেষণ শাখা (র):
রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (RAW) শুধু দেশের ভেতরেই নয়, বাইরেও দেশের শত্রুদের ওপর নজর রাখে। RAW-এর জন্য কাজ করা এজেন্টদের তাদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং মিশনে পাঠানো হয়।
এই সংস্থাগুলি ছাড়াও, 'ন্যাশনাল কাউন্টার টেরোরিজম সেন্টার' সন্ত্রাসী কার্যকলাপের তদন্ত করে, অন্যদিকে 'ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স গ্রিড' সন্ত্রাসীদের ট্র্যাক করতে এবং ২৬/১১ হামলার পরে সন্ত্রাসী ঘটনা প্রতিরোধে বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থাকে সহায়তা করে।
এছাড়া 'ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো' অপরাধ ও অপরাধীদের তথ্য সংগ্রহ করে। NCB এর কাজ মাদক চোরাচালান এবং অবৈধ মাদক ব্যবসা, ব্যবহার প্রতিরোধ করা। এসব সংস্থার কারণেই আমাদের দেশ অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক হুমকি থেকে নিরাপদ রয়েছে।
No comments:
Post a Comment