দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে একটি হল মহাকালেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ। এটি মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নীতে অবস্থিত। বলা হয় এখানে যারা আসে তারা কখনও খালি হাতে ফিরে যায় না। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই জ্যোতির্লিঙ্গের কীভাবে স্থাপিত হল -
কিংবদন্তি অনুসারে, অবন্তী নগরে বেদ প্রিয় নামে এক ব্রাহ্মণ বাস করতেন। তিনি শিবের পরম ভক্ত ছিলেন। প্রতিদিন পার্থিব শিবলিঙ্গ বানিয়ে বাবার পূজো করতেন।
একবার দুষণ নামে এক রাক্ষস এসে মানুষকে অত্যাচার ও ধর্মকর্ম করতে বাধা দিতে লাগল। পরম পিতা ব্রহ্মার কাছ থেকে বর পেয়ে তার আতঙ্ক দিনকে দিন বেড়ে যেতে থাকে। অসুরের অত্যাচার সইতে না সবাই ভগবান শিবের কাছে জীবন রক্ষার জন্য ভিক্ষা চায়।
অসুরের অত্যাচার থেকে ভক্তদের বাঁচানোর জন্য ভোলেনাথ প্রথমে তাকে সতর্ক করেছিলেন। পড়ে তার অত্যাচার না কমলে ভোলেনাথ রেগে গিয়ে মাটি ফুঁড়ে মহাকালের রূপে আবির্ভূত হন, আর অসুরকে বধ করেন। ব্রাহ্মণরা তখন মহাদেবকে সেখানে থাকার জন্য প্রার্থনা করেন। ব্রাহ্মণদের অনুরোধে খুশি হয়ে শিব মহাকালেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ রূপে বিরাজমান হন।
No comments:
Post a Comment