ইতিহাসের পাতায় এমন অনেক গল্প আছে যা জানলে চোখ কপালে উঠবে।
স্বৈরাচারী শাসক তৈমুর লং হঠাৎ এসেছেন লাইমলাইটে। তার কারণ সমরকন্দ। প্রকৃতপক্ষে, সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) সভা অর্থাৎ SCO শীর্ষ সম্মেলন আগামী ১৫ ও ১৬সেপ্টেম্বর সমরকন্দে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর সমরকন্দ হল তৈমুরের জন্মস্থান,তাঁর শাসন ও সমাধি স্থল। জেনে নেওয়া যাক এই শাসকের সম্বন্ধে -
কে ছিলেন তৈমুর?
তৈমুর ছিলেন চতুর্দশ শতাব্দীর একজন শাসক। ১৩৬৯ সালে সমরকন্দে সিংহাসনে আরোহণের পর, তৈমুর বিশ্বজয়ের জন্য যাত্রা করেন। এরপর তিনি বহু দেশ জয় করে দিল্লি আসেন। বলা হয় যে তিনি বেশিদিন দিল্লিতে থাকেননি, তবে ডাকাতি করে আবারও দেশে ফিরে যান।
কেমন ছিল তার বর্বরতা:
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তৈমুর জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে প্রকাশ্যে হত্যার নির্দেশ দিতেন। এ ছাড়া তিনি পার্সিদের ওপরও অনেক অত্যাচার করতেন। বহু মানুষকে হত্যা করেছেন তিনি সে সময়।
তৈমুর এগিয়ে যেতে যেতে যা পেতেন তাই লুট করতেন টাকা, সোনা বা শস্য। একবার তিনি তার ১ লক্ষ বন্দীদেরও হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি মিরাটেও গণহত্যা চালান এবং বহু হিন্দুকে হত্যা করেন। তৈমুর যখনই যুদ্ধের জন্য ময়দানে যেতেন তখনই লাশের স্তুপ করতেন। বলা হয় যে তৈমুরের হাত থেকে বাঁচতে মানুষ নদীতে ঝাঁপ দিত।
No comments:
Post a Comment