ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের পনেরো দিন পিতৃপক্ষ শুরু হয়। এবার পিতৃপক্ষ শুরু হবে ১০ই সেপ্টেম্বর থেকে। শেষ হবে ২৫শে সেপ্টেম্বর। কিন্তু বলা হয় অপঘাতে মৃত্যু বা বয়স জনিত কারণে মৃত্যু হলে গয়াতে পিন্ড দান করলে, আত্মা মুক্তি লাভ করে। জানেন কী কেন গয়াতে পিন্ড দান করা হয়? জেনে নেওয়া যাক -
বলা হয় যে পিতৃপক্ষের এই দিনগুলিতে, পিন্ডদান করলে সরাসরি পূর্বপুরুষদের কাছে পৌঁছে যায় এই দান। পিতৃপক্ষের দিনগুলিতে, লোকেরা তাদের পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে এবং তাদের নামে পিন্ডদান, তর্পণ এবং দান করে। যাতে তাঁদের আত্মা সন্তুষ্ট হয়। পিতৃপক্ষের সময়, যমরাজ পূর্বপুরুষদের আত্মাকেও মুক্ত করেন, যাতে তারা পৃথিবীতে আসতে ও থাকতে পারে।
কেন গয়াতে পিন্ড দান করা হয় :
গয়ায় পিণ্ডদানের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। ধর্মীয় বিশ্বাস গয়ায় পিন্ড দান করলে ১০৮টি পরিবার ও ৭ প্রজন্ম রক্ষা পায় এবং মোক্ষ লাভ করে।
গুরুত্ব:
গরুড় পুরাণের আধারকাণ্ডে গয়ায় অনুষ্ঠিত হওয়ার পিন্ডদানের গুরুত্ব বলা হয়েছে। রামায়ণে বলা আছে গয়াতে মা সীতা তাঁর শ্বশুর রাজা দশরথের পিন্ডদান করেছিলেন।
গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে যে পিতৃপক্ষের সময় এই স্থানে পিন্ডদান করা হলে পূর্বপুরুষরা স্বর্গ লাভ করেন। আর ভগবান শ্রী হরি এখানে পিতৃদেব রূপে অধিষ্ঠান করে আছেন। তাই একে পিতৃতীর্থও বলা হয়।
গয়ার এই গুরুত্বের কারণে প্রতি বছর লক্ষাধিক মানুষ এখানে আসেন পিন্ডদান করতে।
No comments:
Post a Comment