ক্যান্সার নানা কারণে শরীর নানা জায়গায় হতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার ধরা পড়লে ওষুধ ও অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নিরাময় করা যায়। কিন্তু দেরিতে ক্যান্সার ধরা পড়লে কেমোথেরাপিই এর একমাত্র নিরাময়।
কেমোথেরাপির মাধ্যমে ক্যান্সার কোষ বাড়া বন্ধ করা হয়। বিভিন্ন ধরনের কেমো হলেও তাদের কাজ একই। কেমোর মাধ্যমে ক্যান্সার সম্পূর্ণ নিরাময় হয়, কেমোথেরাপিতে এখন চুল পড়া বা বমি হওয়ার সমস্যা হয় না। কিন্তু এই কেমোথেরাপির সময় কী শারীরিক সম্পর্ক কী গড়ে তোলা যায়? যদি গর্ভধারণ হয় তাহলে সেই নব জাতকের কী সমস্যা হতে পারে?জেনে নেওয়া যাক -
কেমোথেরাপিতে শরীরে অনেক দুর্বল হয়ে যায়। কারণ কেমোতে চিকিৎসা এক থেকে দেড় মাসের ব্যবধানে ৭ থেকে ৮টি কেমো হতে প্রায় এক বছর সময় লাগে।
কেমোর সময় শারীরিক সম্পর্ক করা যায়। এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। কিন্তু শরীর দুর্বল হওয়ার কারণে অনেক ধরনের ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে সবসময়।
তাই যে বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরী :
এই বিষয়ে ডাক্তারের সাথে কথা বলার পরেই যেকোনও পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ। এ সময় শরীরে শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা কম থাকে, তাই শারীরিক সম্পর্ক এড়িয়ে চলা উচিৎ। কারণ এতে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
কেমোর সময় প্লেটলেটের সংখ্যা প্রায়ই কমে যায়। তাই এ অবস্থায় রক্তপাতের আশঙ্কা থাকে।
কেমো করার সময় শরীর খুব দুর্বল হয়। তাই সহবাস করলে গোপনাঙ্গে ব্যথার হতে পারে। তাই সহবাস এড়িয়ে চলাই ভালো।
কেমো চলাকালীন যদি গর্ভধারণ হয়, তাহলে জন্ম নেওয়া শিশুটি জন্ম থেকেই কোনও না কোনও রোগে ভোগে।
No comments:
Post a Comment