বুকে জমে থাকা কফ দূর করে আদা

আদা একটি আয়ুর্বেদিক রেসিপি যা বমি বমি ভাব, পেশী ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, স্থূলতা, ক্যান্সারের মতো রোগগুলিকে মূলোৎপাটন করতে ব্যবহৃত হয়। আদা তাজা, শুকনো, গুঁড়ো এবং রসের আকারেও খাওয়া যেতে পারে। এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য শরীরকে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং যেকোনো সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।   

লেবুর রস বা চায়ের সঙ্গে আদা মিশিয়ে পান করলে বুকে আটকে থাকা কফ বা গলায় উপস্থিত শ্লেষ্মা সহজেই দূর হয়ে যায়, কারণ আদার মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, ফসফরাসের মতো ভিটামিন। 

আদার উপকারিতা:

পেশী ব্যথা উপশম: ঔষধ অনুসারে আদার মধ্যে শক্তিশালী বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ জিঞ্জেরল রয়েছে যা উদ্বায়ী পদার্থে সমৃদ্ধ। আপনার প্রতিদিনের খাবারে আদা ব্যবহার করে আপনি পেশীর ব্যায়াম, পিরিয়ড, ক্র্যাম্প, মাইগ্রেনের কারণে হওয়া ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

হজম উন্নতি: আপনি যদি ডায়রিয়ায় ভুগছেন বা পরিপাকতন্ত্রে পেট খারাপ থাকে, তবে আদা চা এবং কাঁচা আদা আপনার জন্য সবচেয়ে উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। আদা গ্যাস্ট্রিক ডিসফাংশন, বদহজম, পেটে ব্যথার মতো সমস্যা দূর করে এবং হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়।

স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: আদার নিয়মিত সেবন মানসিক শক্তির উন্নতি ঘটায় কারণ আদার মধ্যে উপস্থিত ভিটামিন স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং অ্যালঝাইমার, পারকিনসন্সের মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ থেকেও মুক্তি দেয়।

হৃদরোগের উপশম: রক্ত সঞ্চালনের পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা ও কোলেস্টেরল কমানোর ক্ষমতা আদার রয়েছে। আপনার খাদ্যতালিকায় নিয়মিত আদা অন্তর্ভুক্ত করে, আপনি হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো গুরুতর রোগগুলি এড়াতে পারেন, আদা সেবন রক্ত ​​সঞ্চালনে লিপিড স্তরেও কাজ করে।