শতাব্দী প্রাচীন উত্তরপ্রদেশের আউরাইয়া জেলার দিবিয়াপুর থানা এলাকার সেহুদ গ্রামে একটি প্রাচীন ধৌরা নাগ মন্দির রয়েছে। এই মন্দিরটি ১১ শতকের মোহাম্মদ গজনভির আক্রমণের সময়ের ধ্বংসের প্রতীক। আজও শতাব্দী প্রাচীন খণ্ডিত মূর্তি এই মন্দিরে পড়ে আছে। মন্দিরে প্রবেশ করলেই এই মূর্তিগুলো দেখা যায়।
ধৌরা নাগ মন্দির তার অনন্য বিশ্বাসের জন্য বিখ্যাত। কে বা কারা কখন এই মন্দিরটি তৈরি করেছিলেন তা আজও রহস্যময়।মনে করা হয় কনৌজের রাজা জয়চন্দ্রের এই মন্দিরে নাগের পূজো করতে আসতেন। সে সময় রাজা জয়চন্দ্র মন্দিরে একটি গোপন সুড়ঙ্গ তৈরি করেছিলেন।
মন্দিরে ছাদের অনুপস্থিতি প্রায়ই মানুষকে অবাক করে। স্থানীয় লোকজনের মতে, যারাই এই মন্দিরে ছাদ নির্মাণের চেষ্টা করেছিলেন, তিনি বা তার পরিবারের কোনো সদস্য অকাল মৃত্যুবরণ করেছে। ছাদ বানালেও সেই ছাদ ও টিকে থাকে না, ভেঙ্গে যায়। তাই আজ পর্যন্ত কেউ এই মন্দিরে ছাদ দেওয়ার সাহস করেনি।
এই মন্দিরের ইট, মূর্তি বা কিছু নিয়ে যেতে পারবেন না। যেই এই মন্দিরের কোনও জিনিস নিয়ে গেছে তাকে আবার সেই জিনিস ফিরিয়ে দিতে এখানে আসতে হয়েছে।
১৯৫৭ সালে, ইটাওয়ার তৎকালীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এই মন্দির থেকে একটি মূর্তি নিয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু কিছু দিন পরে সেই মূর্তিটি আবার সেই স্থানে রাখতে আসেন।
নাগপঞ্চমীতে এই মন্দিরে বিশেষ পূজো করা হয়। এখানে করা মানত অবশ্যই পূর্ণ হয়। নাগপঞ্চমীর দিন গ্রামে মেলার ও দাঙ্গারও আয়োজন করা হয়
No comments:
Post a Comment