রক্ত ​​থেকে ইউরিক অ্যাসিড দূর করার তিনটি ঘরোয়া পানীয় - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Tuesday 26 July 2022

রক্ত ​​থেকে ইউরিক অ্যাসিড দূর করার তিনটি ঘরোয়া পানীয়



বর্তমান সময়ে ইউরিক অ্যাসিড একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং যখন এটি শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে জমতে শুরু করে তখন তা রক্তের সঙ্গে মিশে যায় এবং জয়েন্টের মধ্যবর্তী স্থানে জমা হয়। সেই সঙ্গে এটি জমার কারণে জয়েন্টে ব্যথার সমস্যা শুরু হয়। আমরা আপনাকে বলি যে জয়েন্টে ব্যথার আগে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির কারণে জয়েন্টগুলিতে শক্ত হয়ে যাওয়ার সমস্যা বা পেশীতে ক্র্যাম্পের সমস্যা রয়েছে। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখলে অনেক সমস্যার অবসান ঘটতে পারে। আসুন আমরা আপনাকে বলি যে ইউরিক অ্যাসিডের অতিরিক্ত বৃদ্ধি কিডনির কার্যকারিতাকেও প্রভাবিত করে। এই কারণে যদি ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে থাকে, তাহলে কিছু ঘরোয়া ভেষজ জিনিস গ্রহণ করা শুরু করুন।

আদার রস এবং লেবু: 
আদা এবং লেবু উভয়ই ইউরিক অ্যাসিড কমাতে এবং জয়েন্টের ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে পরিচিত। আসলে আদার অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ভিটামিন বি-৬, ফোলেট এবং ভিটামিন-ই। এই দুটি একসঙ্গে হলে ইউরিক অ্যাসিড বেরিয়ে আসে এবং জয়েন্টের ব্যথা ফোলাভাব এবং শক্ত হয়ে যায়। আপনি লেবুর রসের সঙ্গে তাজা আদার রস মিশিয়ে পান করতে পারেন বা এটি থেকে চা বানাতে পারেন। এটি পান করার ফলে আপনার ইউরিক অ্যাসিড কয়েক দিনের মধ্যে কমতে শুরু করবে এবং এই রস গলা ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, কিডনি এবং মাড়ির সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।

লেবু এবং গাজরের রস: 
এক চিমটি লেবুর রসের সঙ্গে তাজা গাজরের রস পান করার অভ্যাস করুন কারণ এটি আপনার ইউরিক অ্যাসিড শরীর থেকে বের করে দেবে। আসলে গাজরে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, ফাইবার, বিটা-ক্যারোটিন, মিনারেল এবং লেবুর সঙ্গে এটি জয়েন্টে জমা হওয়া ইউরিক অ্যাসিডকে বের করে দেয়। একই সময়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং কোষের পুনর্জন্মে সাহায্য করে।

শসার রস ও লেবু: 
লেবুর সঙ্গে শসার রস পান করলে শুধু লিভার, কিডনি নয়, পুরো শরীর ডিটক্সিফাই করে। এই রস রক্তের ভিতরে জমা ইউরিক অ্যাসিডকে বের করে আনতেও ওষুধের মতো কাজ করে। এই রসে উপস্থিত পটাসিয়াম এবং ফসফরাস কিডনিকে ডিটক্সিফাই করে, যার কারণে কিডনি থেকে সহজেই ইউরিক অ্যাসিড বের হয়ে যায়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad