শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন যে তার বাড়িটি একটি 'মিনি ব্যাঙ্ক' হিসাবে ব্যবহার করা হত।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রতি ১০দিনে তার বাড়িতে যেতেন। সব টাকা গুছিয়ে একটা ঘরে রাখা হত। এই ঘরে শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার লোকজনই যেতে পারতেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুমতি ছাড়া এই ঘরে কেউ ঢুকতে পারত না। তিনি আরও বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় কখনই জানাতেন না ঘরে কত কত টাকা রাখা আছে।
কলকাতায় অর্পিতার বাড়িতে উদ্ধার হয় দুটি ডায়েরি। বলা হচ্ছে, এই কালো টাকা ওড়িয়া চলচ্চিত্র নির্মাণে বিনিয়োগ করা হত।
এই ডায়েরিগুলিই মূল কেলেঙ্কারির চাবিকাঠি। সূত্রের খবর, রাজনীতিবিদ, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজকসহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তির নাম, সংখ্যা ও পরিমাণ লিপিবদ্ধ রয়েছে ডায়েরিতে।
অর্পিতা ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলা ও ওড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ছিলেন। তিনি অন্তত ৬টি ওড়িয়া ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।
ওড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বড় বড় পরিচালক, প্রযোজক এবং প্রোডাকশন হাউসের সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গেছে। অর্পিতা ওড়িয়া ছবিও প্রযোজনা করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত এর কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
যদিও তিনি পর্দায় বিশেষ কিছু দেখাতে পারেননি।
তবুও দক্ষিণ কলকাতার জোকায় তার একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। তবে এই সব প্রশ্নের উত্তর এবং ওই ডায়েরির ভেতরে কী আছে তা ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের পরই জানা যাবে।
No comments:
Post a Comment