নতুন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর জীবন খোলা বই এর মতো। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর জীবন খুবই সংগ্রামে ভরা।রাষ্ট্রপতি হওয়ার রাস্তা খুবই কঠিন ছিল। তাঁর কন্যা ইতিশ্রী জানালেন মা দ্রৌপদীর জীবনের কাহিনী।
দ্রৌপদী মুর্মুর প্রথম সন্তান, মাত্র তিন বছর বয়সী, ১৯৮৪ সালে মারা যায় । ২০১০এ, তিনি তার ২৫ বছর বয়সী বড় ছেলে লক্ষ্মণকে হারান। ২০১৩ সালে ছোট ছেলে শিপুনের ২৮ বছর বয়স হলে সেও পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়।
এরপর ২০১৪ সালে অক্টোবরে স্বামী শ্যাম চরণ মুর্মু তিনিও পৃথিবীকে চিরতরে বিদায় বলে চলে যান। চার বছরে দুই ছেলে ও স্বামীর মৃত্যুর ধাক্কা সইতে হয়েছে।
বড় ছেলের মৃত্যুর পর ছ’মাস ডিপ্রেশনে চলে যান মুর্মু। এরপর এই হতাশা থেকে বেরিয়ে আসতে তিনি আধ্যাত্মিকতার সাহায্য নেন। ব্রহ্মা কুমারিস নামে একটি আধ্যাত্মিক সংগঠনে যোগদান করেন।
মেয়ে একটি ব্যাঙ্কে কাজ করে এবং তার স্বামীর গণেশ হেমব্রম, একজন রাগবি খেলোয়াড়।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু অত্যন্ত সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর মতো প্রতিদিন ভোর তিনটেয় ঘুম থেকে উঠে ধ্যান ও যোগব্যায়াম করেন।
জলখাবার সেরে খবরের কাগজ পড়ে, ব্রহ্মাকুমারী অনুবাদ এবং একটি বই সঙ্গে রাখেন। তিনি একজন খাঁটি নিরামিশাষী, পেঁয়াজ এবং রসুনও খাননা।তবে ওড়িশার বিখ্যাত মিষ্টি 'চেন্না পোদা' তাঁর প্ৰিয় মিষ্টি।
No comments:
Post a Comment