মধ্যপ্রদেশের রাইসেন জেলায় ভোপাল-ইটারসি রেল ট্র্যাকের বারখেদা রেঞ্জে গভীর রাতে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি স্কুটি ও ফোন পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্তের পর আত্মহত্যা হিসেবে ধরলেও ঘটনার আগে বাবার ফোনে যাওয়া একটি ম্যাসাজ মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
ঘটনার ঠিক আগে ছাত্রের নামে তৈরি করা ইনস্টাগ্রাম আইডি থেকে তার বাবা ও বন্ধুদের হোয়াটসঅ্যাপে একটি স্ক্রিনশট দেখা যায়। স্ক্রিনশটে ছাত্রের একটি ছবি রয়েছে এবং তাতে লেখা আছে, গুস্তাখ-ই-নবীর শুধু একমাত্র শাস্তি, শরীর থেকে মাথা আলাদা হওয়ার...!'
খবর পেয়ে তার বন্ধুরা টিটি নগর থানায় পৌঁছায়। ওই ছাত্রের মোবাইল কে অপারেট করছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দুই বোনের মধ্যে ওই ছাত্র ছিল একমাত্র ভাই। মৃত ছাত্রের বন্ধুরা জানায় , ছেলেটি তাঁর বন্ধু প্রখরের মোবাইল, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক আইডি ব্যবহার করত, তাই প্রখরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
রাইসেনের এসপি বিকাশ শাহওয়াল জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। ছাত্রটির সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে যে সে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করত। আশংকা করা হচ্ছে যে সে ক্ষতির কারণে মানসিক চাপে আত্মহত্যা করেছে। তবে পিএম রিপোর্টসহ অন্যান্য তথ্য সংগ্রহের পরই তার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। সব দিক থেকে তদন্ত করছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে,ছাত্রের নাম নিশাঙ্ক রাঠোর (২০), উমাশঙ্কর রাঠোরের ছেলে, মূলত নর্মদাপুরম জেলার সিওনি মালওয়ার বাসিন্দা, ভোপালের ওরিয়েন্টাল কলেজের বি টেক ৫ম সেমিস্টারের ছাত্র। ইন্দ্রপুরীর হোস্টেলে দু বছর থাকেন। সম্প্রতি হোস্টেল ছেড়ে জওহর চক শাস্ত্রীনগরে বন্ধুদের সঙ্গে রুম শেয়ার করছিলেন।
রবিবার রাত ৮টার দিকে বাবার ফোনে
তার ছবিসহ মেসেজ আসে। মেসেজ পড়ে ভয় পেয়ে বাবা বন্ধুদের ফোন করেন। বন্ধু রাজ, ও কাকাতো ভাই শশাঙ্ক টিটি নগর থানায় তার নিখোঁজ দায়ের করেন। ততক্ষণে বারখেদা এলাকার রেললাইন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে রাইসেন পুলিশ।
নিশাঙ্কের কাকাতো ভাই শশাঙ্ক জানান, রবিবার দুপুর ১২টায় তার বন্ধু রাজের সঙ্গে ফোনে কথা হয় তার। এরপর তার বাবার সঙ্গে কথা হয়।
নিশাঙ্কের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার সময় পাওয়া ২টি ম্যাসাজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।একটিতে নিশাঙ্ক রাঠোরের নামে একটি ধর্মীয় পোস্ট শেয়ার দেখানো হয়েছে। একই সঙ্গে দ্বিতীয় ম্যাসাজে তার ছবির ওপর লেখা, গোস্তাখ-ই-নবীর শুধু একমাত্র শাস্তি হল শরীর থেকে মাথা আলাদা হওয়ার...!'
No comments:
Post a Comment