সুস্থ শরীরও কীভাবে দায়ী হয় বন্ধ্যাত্বের জন্য?

  পুরুষের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা তাদের কাছ থেকে বাবা হওয়ার আনন্দ কেড়ে নেয়।  এই ধরনের সমস্যার প্রধান কারণ শুক্রাণুর সংখ্যার কমে যাওয়া বা শুক্রাণুর গুণমান হ্রাস হওয়া।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্রমাগত ভুল জিনিস খেলে শুক্রাণুর গতিশীলতার ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে।

আসুন জেনে নেই শুক্রাণুর গতিশীলতা কী এবং কীভাবে এটি প্রভাবিত হয়?

শুক্রাণুর গতিশীলতা:

 একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রজনন ক্ষমতার ক্ষেত্রে শুক্রাণুর গতিশীলতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি ডিম্বাণু পর্যন্ত শুক্রাণু পৌঁছাতে সাহায্য করে।   শুক্রাণুর গতিশীলতা দু প্রকার, যার একটি হল প্রগতিশীল গতিশীলতা এবং অন্যটি অপ্রগতিশীল গতিশীলতা। 

প্রগতিশীল গতিশীলতায়, শুক্রাণু একটি সরল রেখায় সাঁতার কাটে, আর  অপ্রগতিশীলতা  বিপরীত দিকে।  গতিশীলতার প্রভাবে বিশ্বব্যাপী ৬০ থেকে ৮০ মিলিয়ন দম্পতি বন্ধ্যাত্বের সম্মুখীন হচ্ছে ভাজা খাবারের কারণে।

 ভাজা খাবার :

   ভাজা খাবারের মধ্যে রয়েছে চিকেন ফ্রাই, ফিশ ফ্রাই, পাকোড়া, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, ফ্রাইড রাইস, আলু-টিক্কি, ভাটুর ইত্যাদি মানুষ চিন্তা না করেই প্রতিদিন এই ধরনের খাবার খায়।

  বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভাজা খাবারের কারণে প্রগতিশীল গতিশীলতায় খারাপ প্রভাব পড়ে এবং শরীরে শুক্রাণুর গতিশীলতা আগের মতো থাকে না।  বলা হয় যে এই ধরনের খাবার স্থূলতা বাড়ানোর সাথে শুক্রাণুর গতিশীলতাকেও প্রভাবিত করতে পারে। 

 টিপস :

 শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে চাইলে প্রতিদিন  সবুজ শাকসবজি খেতে হবে।  প্রতিদিন অন্তত ৩ লিটার জলে পান ও প্রতিদিন ব্যায়াম করা উচিৎ।

 এ ছাড়া আখরোটও খেতে হবে।  গবেষণায় জানা গেছে যে এতে পাওয়া ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড অণ্ডকোষে ভালো রক্ত ​​সঞ্চালন করে।  এক্ষেত্রে শুক্রাণুর সংখ্যাও বেড়ে যায়।