আজ ২৯শে জুলাই সমস্ত জেলার মতো হাওড়া সহরেও একই দিনে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে ডেপুটেশনের কর্মসূচি নেয় জেলার আশা কর্মীরা। ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন সাব সেন্টারে ও ব্লকে আশাকর্মীরা ডেপুটেশন তাঁরা দিয়েছেন। এছাড়াও তাঁদের সংগঠনের পক্ষ থেকে আগামী ৩রা আগস্ট, বুধবার সারা রাজ্য ব্যাপী আশাকর্মীদের "কর্ম বিরতির" ডাকও দেওয়া হয়েছে।
এই কর্মসূচিকে সামনে রেখে আজকে ২৯শে জুলাই শুক্রবার, বেলা ১১টায় আশা কর্মীরা হাওড়া বঙ্কিম সেতুর নিচে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত করেন। পরে তাঁরা হাওড়া মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসে বিক্ষোভ- অবস্থান ও ডেপুটেশন দেন।
হাওড়া গ্রামীণ জেলা আশাকর্মী ইউনিয়নের সভানেত্রী মধুমিতা মুখোপাধ্যায় সরাসরি স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন কোভিড-১৯ শুরুর সময় থেকে তাঁরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। তবে তার জন্য যথাযথ ও ন্যাহ্য পারিশ্রমিক তাঁরা আজও পান নি।
তাঁরা বারংবার মাসিক ইনসেন্টিভের অর্থ একসঙ্গে দেওয়ার দাবি জানিয়ে এসেছেন। তাঁদেরকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কেউ কথা রাখে নি। ব্যাঙ্কের কাছে জানতে চাইলে ব্যাঙ্ক হাত তুলে নিচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকেও তাঁরা সহযোগিতা পাচ্ছেন না। তাই তাঁরা নিজেদের লাঞ্চিত ও অত্যাচারিত মনে করছেন। পাশাপাশি যে কোনো ধরণের সরকারি অনুষ্ঠান হলেই তাঁদেরকে সেখানে হাজির হতে বাধ্য করা হচ্ছে।
তবে তাঁদের প্রাপ্য অর্থের বিষয়ে কেউ কোনো প্রতিকার করতে চাইছেন না। তাঁদের উপরে কাজের পাহাড় চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অমানবিকভাবে দু ঘন্টার মধ্যে কখনও বা দিনের দিনেই রিপোর্ট চাওয়া হচ্ছে।
তাঁরা সমস্ত সরকারি দফতরে ইতিমধ্যেই তাঁদের সমস্যার কোথা জানিয়েছেন। আজকে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিককে তাঁরা ডেপুটেশন দেবেন। এতেও কাজ না হলে আগামী ৩ অগাস্ট থেকে লাগাতার ও অনির্দিষ্টকালের জন্য জেলার সমস্ত আশা কর্মীরা কাজ বন্ধ করে দেবেন বলেই হুঁশিয়ারী দেন তিনি।
প্রসঙ্গত এর আগেও তাঁদের সমস্যার কথা জানিয়ে বহুবার ডেপুটেশনে গেছিলেন তাঁরা। তারপরেও সমস্যা না মেটার কারণে এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্ম বিরতির সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এতে আগামীদিনে জেলার স্বাস্থ্য পরিষেবাতে বড়োসড়ো প্রভাব পড়তে চলছে।
No comments:
Post a Comment