প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবৈধ নিয়োগের তদন্তের বিষয়ে CBI তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার মামলার শুনানি শুরু হলেও শেষ হয়নি। আগামী বৃহস্পতিবার আবার শুনানি হবে।
এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য আজ কলকাতা হাইকোর্টে হাজির হন।
প্রাথমিক টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি ২০১৪ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালে। ২০১৬ সালে নিয়োগের প্রথম প্যানেল প্রকাশের পর, ২০১৬ সালে দ্বিতীয় প্যানেলে ২৬৯ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি বেঞ্চ সম্প্রতি সেই ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল করেছে। এর মধ্যে হুগলি জেলার মাত্র ৬৮ জন শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন।
বেঞ্চে দায়ের করা মামলার শুনানিতে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের অ্যাডভোকেট লক্ষ্মী গুপ্তা জানান, প্রায় ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে ২৬৯ জনের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বোর্ড সেই ভুল শোধরাতে রাজি হয়েছে। কোনও ভুল থাকলে তা সংশোধনের সুযোগ দিতে হবে বলে জানান এই আইনজীবী।দ্বিতীয় প্যানেলে ২৬৯ জনকে আলাদা করে কেন আরেকটি নম্বর দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
প্রশ্নপত্রে একটি প্রশ্নে সমস্যা ছিল। তাই পরবর্তীতে তা বাড়িয়ে এক নম্বর করা হয়। কিন্তু যদি তাই হয়, তাহলে কেন অন্য কোনো প্রার্থী ওই বাড়তি নম্বর পাননি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মঙ্গলবার কাউন্সিলের প্রতিনিধিত্বকারী একজন আইনজীবী জানান, সবাইকে নম্বর দেওয়া হয়েছে। এরপর শুনানি মুলতবি করা হয়।
এদিকে আদালতে হাজির হন বোর্ড সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। সোমবার শুনানিকালে তাকে অবিলম্বে বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দেন আদালত।
No comments:
Post a Comment