বলিউড অভিনেতা সলমান খানকে হুমকির মামলার তদন্ত চলছে। মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ এবং মহাকালের বয়ানের তদন্তের পর সন্দেহভাজন রাজস্থানের গ্যাংস্টার সম্পত নেহরা গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাকে খুঁজতে ক্রাইম ব্রাঞ্চের একটি দল পালঘর এবং আরেকটি দল রাজস্থানে গেছে।
বলিউড অভিনেতা সলমান খান ও বাবা সেলিম খানের হুমকির বিষয়ে তদন্ত করছে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ। এই তদন্তের সময় ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডিসিপি সংগ্রাম সিং নিশানদার পুনে গ্রামীণে গিয়ে সৌরভ ওরফে মহাকালকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় বান্দ্রার অনেক সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়।
মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ সূত্রে জানা গেছে, সিসিটিভি ফুটেজের তদন্তের সময় সন্দেহভাজন ব্যক্তির সন্ধান চলছে। তদন্তে জানা গেছে, সলমান খানকে হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং।
লরেন্স বিষ্ণোইকে ২০২১ সালে এজেন্সি জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময়, লরেন্স সলমানকে হত্যার ষড়যন্ত্রের কথা স্বীকার করেছেন এবং প্রকাশ করেছেন যে তিনি সলমান খানকে হত্যা করার জন্য রাজস্থানের গ্যাংস্টার সম্পত নেহরার সাথে যোগাযোগ করেছিলেন।
এর পরেই মুম্বাইতে সলমান খানের বাড়ির রেকি করেছিলেন সম্পত নেহার। কিন্তু দীর্ঘ দূরত্বের কারণে তিনি সলমান খানের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।
তথ্য অনুসারে, সম্পত নেহরার কাছে যে পিস্তল ছিল সেটা দিয়ে তিনি দূর থেকে লক্ষ্য করতে পারতেন না। এরপর সম্পত নেহরা তার গ্রামের আরেক জন দীনেশ ফৌজির মাধ্যমে আরকে স্প্রিং রাইফেল কেনেন । এই রাইফেলটি লরেন্স বিষ্ণোই তার পরিচিত অনিল পান্ড্যের কাছ থেকে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকায় কিনেদিয়েছিছিলেন।
রাইফেলটি দীনেশ ফৌজির কাছে রাখা ছিল। যেটি পুলিশ খুঁজে বের করে এবং তারপরে সম্পত নেহরাকে গ্রেফতার করে। সূত্র জানিয়েছে যে লরেন্স বিষ্ণোই ২০১৮-১৯ এই ষড়যন্ত্রটি করেছিলেন।
No comments:
Post a Comment