শনিকে ন্যায়ের দেবতা বলা হয়। শনি যখন অশুভ হয়ে যায়, তখন মানুষের জীবনে অনেক ঝামেলা হয়। এসময় চন্দন কাঠের প্রতিকার কার্যকর হতে পারে।
বলা হয় শনিকে শান্ত রাখা প্রয়োজন। জ্যোতিষশাস্ত্রে শনি গ্রহকে একটি বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। শাস্ত্রে শনিকে কর্মের দাতা এবং কলিযুগের বিচারক হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এই কারণেই সবাই শনিদেবকে খুশি রাখতে চায়। শনিকে খুশি রাখতে চন্দন কাঠের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। আজ আমরা জানবো কী ভাবে চন্দন ব্যবহারে শনিদেবকে শান্ত রাখা যাবে?
চন্দনের ঔষধি গুণের সাথে সবাই পরিচিত। পূজো পাঠে চন্দন কাঠের প্রধান ব্যবহার করা হয়। পূজোয় বিভিন্ন ধরনের চন্দন ব্যবহার করা হয়, যেমন লাল চন্দন, হলুদ চন্দন এবং সাদা চন্দন। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুযায়ী, চন্দন ছাড়া ভগবান বিষ্ণুর পূজো সম্পূর্ণ হয় না। শনির অশুভতা দূর করার ক্ষমতাও রয়েছে চন্দনের। চন্দন কাঠের এই প্রতিকারে শনি প্রসন্ন হন।
চন্দনের দিয়ে স্নান :
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে জলে চন্দনের মূল দিয়ে স্নান করলে শনির অশুভতা দূর হয়। এটি ৪০ দিনের জন্য করা উচিৎ । তবেই এই প্রতিকারের পূর্ণ সুফল পাওয়া যায়।
শনি মন্ত্র জপ :
শনি যদি বেশি ক্ষতির কারণ হয় এবং জীবন দুর্ভোগে পরিপূর্ণ হয় তবে শনিবার বা অমাবস্যার দিন সূর্যাস্তের পর পিপল গাছের নীচে সর্ষের তেলের প্রদীপ এবং চন্দনের মালা জ্বালিয়ে এই মন্ত্রটি জপ করুন - ' ওম শনিশ্চরায় নমঃ।
লাল চন্দন:
শনিদেবকে খুশি করতে শনিবার লাল চন্দন লাগান। এতে করে সাড়ে সাতী ও শনির ধৈয়া থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment