সুস্থ জীবনের জন্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা নানা ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এর মধ্যে রয়েছে ডায়েট থেকে শুরু করে যোগব্যায়াম। ফিট থাকার জন্য জীবনে ভারসাম্য থাকা দরকার। শারীরিক ভারসাম্যের পাশাপাশি মানসিক ভারসাম্যও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এমনই একটি ব্যালেন্স টেস্টের কথা জানবো, যার মাধ্যমে জানা যাবে কত দিন বেঁচে থাকা যাবে?
ব্রাজিলে করা এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এক পায়ে দাঁড়ানোর ভারসাম্যই বলে দিতে পারে সেই ব্যক্তি কতদিন বাঁচতে পারে। গবেষণা অনুসারে, ৫০ বছরের বেশি বয়সীরা যদি ১০ সেকেন্ডের বেশি এক পায়ে দাঁড়াতে না পারেন, তবে পরবর্তী ১৯ বছরের মধ্যে তাদের মৃত্যুর সম্ভাবনা দ্বিগুণ হয়ে যায়।
ব্রাজিলের বিজ্ঞানীরা ১০ বছর ধরে এই বিষয়ে একটি গবেষণা করেছেন। এই গবেষণায় ১৭০০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। প্রথম পরীক্ষার সময় যাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয় তাদের বয়স ছিল ৫১ থেকে ৭৫ বছরের মধ্যে। এতে গড় বয়স ধরা হয়েছে ৬১ বছর।
১০ বছর ধরে করা এই গবেষণার সময়, ২১ শতাংশ লোকই ব্যালেন্স পরীক্ষায় ফেল করে।
৫১ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ৫ শতাংশ মানুষ এই পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি।
৫৬ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৮ শতাংশ মানুষ এই পরীক্ষায় ফেল করেছে।
৬১ থেকে ৬৫ বছর বয়সী ১৮ শতাংশ মানুষ এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি।
৬৬ থেকে ৭০ বছর বয়সী ৩৭ শতাংশ লোক এই ব্যালেন্স পরীক্ষায় ফেল করেছে।
৭১ থেকে ৭৫ বছর বয়সী ৫৪ শতাংশ মানুষ এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি।
যারা ব্যর্থ হয়েছে তাদের প্রায় ১৭.৫ শতাংশ পরবর্তী ১০ বছরের মধ্যে মারা গেছে।
ভারসাম্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে মাত্র ৪.৬ শতাংশ পরবর্তী ১০ বছরে মারা গেছে।
ভারসাম্য পরীক্ষায় ব্যর্থ ব্যক্তিদের রোগের সাথেও বিজ্ঞানীরা গভীর সংযোগ খুঁজে পেয়েছেন।
এই ধরনের লোকেরা স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, ডিসলিপিডেমিয়া এবং করোনারি ধমনী রোগে ভুগছিলেন।
যারা মারা গেছেন তাদের লিঙ্গ, বয়স এবং চিকিৎসার ইতিহাসও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
ব্যালেন্স পরীক্ষা একটি ল্যাব বা প্রযুক্তিগত পরীক্ষা নয়। এটি বাড়িতেও করা যায়।
১০ সেকেন্ডের জন্য ডান বা বাম পা ব্যবহার করে দাঁড়ান। দাঁড়ানো পায়ের পিছনে উপরে আরেক পা তুলে রাখুন। দু হাত পাশে রাখুন। এই পরীক্ষাটি করার জন্য কমপক্ষে ৩টি সুযোগ রয়েছে।
No comments:
Post a Comment