দুধ উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে থাকা নিউজিল্যান্ড গরুসহ অন্যান্য গবাদি পশুর জন্য একটি নতুন আইন এনেছে। এই আইনে গরু মালিকরা খুবই বিরক্ত। প্রকৃতপক্ষে, নিউজিল্যান্ড সরকারের সিদ্ধান্তে, মালিকদের গরু সহ অন্যান্য গবাদি পশুর কাটলে তারওপর কর দিতে হবে। নিউজিল্যান্ড বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এ ধরনের আইন চালু করেছে।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন নিয়ন্ত্রণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবাদিপশুর ছুরিকাঘাত গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত করে এবং পরিবেশের ক্ষতি করে। নিউজিল্যান্ডের পরিবেশ মন্ত্রণালয় বুধবার নতুন আইনের খসড়া প্রকাশ করেছে।
খসড়া অনুযায়ী, এখন ২০২৫ সাল থেকে কৃষকদের গবাদি পশু কাটার উপর কর দিতে হবে। পরিসংখ্যান অনুসারে, ৫ মিলিয়ন জনসংখ্যার নিউজিল্যান্ডে প্রায় ১০ মিলিয়ন গবাদি পশু বাস করে। এর মধ্যেও ভেড়ার সংখ্যা ২ লক্ষ ৬ হাজার। সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, নিউজিল্যান্ডে মোট গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের মধ্যে মিথেনই প্রধান গ্যাস।
সরকার খসড়ায় বলেছে, গ্যাসের ধরনের ভিত্তিতে কর নির্ধারণ করা হবে। বায়ুমণ্ডলে যে গ্যাস বেশিক্ষণ থাকবে তার ওপর বেশী কর এবং স্বল্পস্থায়ী গ্যাসের জন্য কম কর দিতে হবে।
নিউজিল্যান্ডের জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী জেমস শ বলেছেন যে গবাদি পশুর থেকে প্রচুর পরিমাণে মিথেন গ্যাস বের হচ্ছে। তাই এখন এর ওপর কর আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কর সংগ্রহের প্রক্রিয়াটি নির্গমন মূল্য ব্যবস্থার অধীনে করা হবে।
আসলে কর নিয়ে কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়াই সরকারের পরিকল্পনা। এই প্রণোদনা গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর চেষ্টা করবে। সরকার বলেছে, এই আইনে যে কর আদায় করা হবে তা গবেষণা, কৃষি উন্নয়ন এবং কৃষকদের পরামর্শে ব্যয় করা হবে।
No comments:
Post a Comment