চাণক্য নীতি অনুযায়ী জীবনে এই পরিস্থিতি হল চরম দুর্ভাগ্যের লক্ষণ

 

ভাগ্য এবং দুর্ভাগ্য জীবনের অংশ।  বলা হয়ে থাকে যে সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্যের পিছনে বেশিরভাগ নিজের চিন্তাভাবনা এবং আচরণ দায়ী।  আচার্য চাণক্যও তাঁর নীতিশাস্ত্রে এমন তিনটি পরিস্থিতির বর্ণনা করেছেন।  জীবনে যখন এই তিনটি পরিস্থিতি আসে, তখন বুঝতে হবে যে ব্যক্তি দুর্ভাগ্যের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। চাণক্যের মতে,এ সময় ধৈর্য বজায় রাখা উচিৎ।

 বার্ধক্য মৃতা ভর্য বন্ধুহস্তে গতম ধনম্।

 ভোজনম চ পরাধিনাম ত্রয়ঃ পুনসান বিড়ম্বনাঃ।।

 বৃদ্ধ বয়স:

 চাণক্য শ্লোকটিতে বলেছেন যে যদি কোনও বৃদ্ধ মহিলা বা পুরুষের জীবনসঙ্গী মারা যায় তবে এটি তার জন্য সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য কারণ বৃদ্ধ বয়সে ব্যক্তির তার জীবনসঙ্গীর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয়।  যৌবনে সঙ্গীর মৃত্যুর পর পুনরায় বিয়ে করা যায়, কিন্তু বৃদ্ধ বয়সে একাকীত্বের কারণে জীবন খুবই কষ্টকর হয়ে ওঠে।

টাকা :

 চাণক্যের মতে, নিজের অর্জিত অর্থ যদি শত্রু বা কোনও খারাপ ব্যক্তির হাতে চলে যায়।

 আত্মসম্মান:

  অন্যের উপর নির্ভরশীল হওয়ার অর্থ নিজের ইচ্ছাকে হত্যা করা। একজন ব্যক্তির স্বাধীনতা হরণ করে।  ছোট ঘর হলেও নিজের বাড়িতে থাকাটা সৌভাগ্যের এবং আত্মসম্মানের ব্যাপার। নিজের জিনিসের ওপর অধিকারই আলাদা থাকে।