সৌম্য সেনগুপ্তের চলচ্চিত্র মৃত্যুপথযাত্রীতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাহুল অরুণোদয় ব্যানার্জি। এটি একটি পরীক্ষামূলক বাংলা কথাসাহিত্য যেখানে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আসামির শেষ বারো ঘণ্টার একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
দিনশেষে নির্দিষ্ট দিনে আসামিকে একটি সেলে রাখা হয় এবং পরের দিন তাকে ফাঁসিতে ঝুলানোর জন্য সেল থেকে বের করা হয়। এই সময়ের মধ্যে আসামির মানসিক যন্ত্রণা একাকীত্ব অপরাধবোধ এবং মৃত্যুর ভয় বিস্তারিতভাবে দেখানো হয়েছে। অবশেষে শেষ করার সময় আসে। আসামি তার জীবন ভিক্ষা করে। চিৎকার করে। কিন্তু কেউ শোনে না। জেলের অফিসাররা তার মুখে কালো টুপি পরিয়ে দেয় এবং দণ্ডিতকে মৃত্যুর দিকে তার শেষ যাত্রার জন্য টেনে নিয়ে যায়। ফাঁসি কার্যকরের মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে একজন আসামির মনের অবস্থা ঠিক কি হতে পারে? মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে কি নিয়ম অনুসরণ করা হয়? বারো বছর জেল খেটেও ফাঁসিতে ঝুলিয়ে জীবন শেষ করা কি হত্যা নয়? আমার ডেবিউ ফিল্ম এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে বলেন পরিচালক।
রাহুল বলেন যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ভূমিকা পালন করতে তাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছিল। আমাকে প্রায় এক মাস ধরে বিভিন্ন সংশোধনাগারের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল এবং পরিচালকের নির্দেশে কঠিন ওয়ার্কশপ করতে হয়েছিল। দিনের পর দিন আমাকে নিজেকে ঘরে বন্দী রেখে চরিত্রটি আত্তীকরণ করতে হয়েছিল অভিনেতা বললেন।
No comments:
Post a Comment