জ্ঞানবাপী মসজিদের জরিপের ভিডিও সামনে এসেছে। ছবিগুলো জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরের ওয়াজুখানার শুট যখন জ্ঞানভাপি কমপ্লেক্সে আদালতের নির্দেশে ভিডিওগ্রাফি ও ফটোগ্রাফি করা হচ্ছিল। জরিপ চালাচ্ছে আদালতের নিযুক্ত কমিশনার টিম। ভাজুখানায় জল ভরে গেছে, আর তা বের করা হচ্ছে। জল একটু কমলে শিবলিঙ্গের মতো আকৃতি দেখা যায়। হিন্দু পক্ষ এই শিবলিঙ্গকেই বলছে।
শিবলিঙ্গের উপর তৈরি চিহ্ন, পাথরের উপর সূক্ষ্ম চিহ্ন এবং উপরে পাঁচটি কাটা এবং একটি গর্ত দৃশ্যমান। এর ভিত্তিতে মুসলিম পক্ষ একে ঝর্ণা বলছে। হিন্দু পক্ষের দাবি, শিবলিঙ্গের উপরে আলাদাভাবে এটি তৈরি করা হয়েছে। এই চিহ্নটিও অন্যরকম দেখাচ্ছে।
জ্ঞানবাপী মসজিদের বৃত্তের বাইরে জালির মতো দেয়ালের দ্বিতীয় নন্দী বসে আছেন। এসব ছবিতে নন্দীকে স্পষ্ট দেখা যায়। নন্দীর মুখ জালের মতো দেয়ালের দিকে। নন্দীর ঠিক সামনে জালি দেয়ালের অপর পাশে একটি বারান্দা রয়েছে এবং এই বারান্দাটির ভিতরে উজুখানা নির্মিত হয়েছে।
এর ঠিক সামনে প্রায় ৮৩ ফুট দূরত্বে উজুখানা দৃশ্যমান। এই উজুখানার মাঝখানে শিবলিঙ্গের আকৃতি পাওয়া গেছে, যাকে হিন্দুরা শিবলিঙ্গ বলে দাবি করছে। হিন্দু পক্ষ দাবি করে যে শিব মন্দিরগুলিতে নন্দীর মুখ সবসময় শিবলিঙ্গের দিকে থাকে। বর্তমানে এসব ছবি নিয়ে আদালতকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাই আপাতত সব দলের অপেক্ষা করা উচিত।
ফাঁস হওয়া জ্ঞানবাপী মসজিদ সমীক্ষার ভিডিওতে এমন কিছু নিদর্শনও পাওয়া গেছে, যেগুলো নিয়ে হিন্দু পক্ষ তাদের দাবি জোরালো হতে শুরু করেছে। মসজিদের অভ্যন্তরে নির্মিত দেয়ালে ত্রিশূলের আকৃতি স্পষ্টভাবে দেখা যায় এবং এটি এক জায়গায় নয় দেয়ালে অনেক জায়গায় দেখা গেছে। যদিও হিন্দু পক্ষের দাবি, রং দিয়ে আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছে।
মসজিদের দেয়ালে কিছু নিদর্শন রয়েছে এবং মাঝখানে একটি হাতির মূর্তি দেখা যায়। হিন্দু পক্ষ মন্দির থাকার আরও বেশি প্রমাণ স্বীকার করছে। দেয়ালে কিছু জায়গায় স্বস্তিক চিহ্নও দাবি করা হচ্ছে। যদিও ছবিগুলোতে স্বস্তিক খুব একটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। মসজিদের বাইরের দেয়ালেও এমন চিত্র দেখা গেছে। এই দেয়ালে ফুলের মতো আকৃতি খোদাই করা হয়েছে এবং মাঝখানে ঘণ্টার মতো আকৃতি তৈরি করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment