রাতে বারবার ঘুম ভাঙার কারণে না মন শান্ত হয় না সাথে ক্লান্তিও যায় না। ফলে মেজাজ ভালো থাকে না। পরের দিন নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
যেমন কাজে মনোযোগ দিতে না পারা, সময়মতো কাজ শেষ করতে না পারা, কোনো কারণ ছাড়াই রাগ হওয়া , কারো সাথে কথা বলতে না চাওয়া ইত্যাদি। তো চলুন জেনে নেই এই সমস্যার কারণ ও সমাধান সম্পর্কে।
চাপ দূর করতে :
মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে প্রথমে ঘুম আসে না এবং যদি তা হয় তবে তা মাঝে মাঝেই ভাঙতে থাকে। তাই ঘুমতে যাওয়ার আগে অবশ্যই নিজেকে শিথিল করতে হবে। এর জন্য এমন একটি বই পড়তে হবে।
ঘর এবং তাপমাত্রা:
একটি ভাল রাতের ঘুমের জন্য আদর্শ ঘরের তাপমাত্রা ১৮ থেকে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বিবেচনা করা হয়। এছাড়াও আচ্ছাদন এবং বিছানার চাদর যেন সুতির হয়। কারণ এটি ত্বককে রিলাক্স করতে এবং মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে।
আলো এবং বায়ুচলাচল:
ঘুমোতে যাওয়ার সময় ঘর খুব অন্ধকার হওয়া উচিৎ নয়। এর পাশাপাশি বাতাস চলাচলের জন্য কিছু জায়গা থাকতে হবে।
খুব নরম গদি থাকার কারণে দুর্বল ভঙ্গির কারণে পেশীতে ব্যথা হতে পারে। তাই গদি কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও, প্রতি ১০ বছর অন্তর বিছানার গদি পরিবর্তন করতে হবে।
রাতে প্রস্রাব করা:
কিছু লোককে গভীর ঘুমে জেগে প্রস্রাব করতে হয়, এতে তাদের ঘুম ভেঙ্গে যায় তারপর আবার ঘুমাতে সময় লাগে। এটি তিনটি কারণে হয়ে থাকে। প্রথম কারণ ডায়াবেটিস, দ্বিতীয় কারণ ঘুমের আগে অ্যালকোহল পান এবং তৃতীয় প্রধান কারণ মানসিক চাপ। এছাড়া ঘুমানোর আগে প্রচুর জল পান করলেও রাতে প্রস্রাবের সমস্যা হতে পারে।
No comments:
Post a Comment