আসামে অবিরাম বর্ষণে বন্যা ও ভূমিধসে ২০টি জেলায় প্রায় ২ লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোমবার একটি সরকারী বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে দিমা হাসাও জেলার পার্বত্য অঞ্চলে ভূমিধসের কারণে রেল ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, রাজ্যের বাকি অংশের সাথে এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
সরকারী বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে আসামের কাছাড় জেলায় বন্যার কারণে দুটি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, আর দিমা হাসাও ভূমিধসের কারণে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আসাম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এএসডিএমএ) বুলেটিন জানিয়েছে যে বন্যায় প্রায় ১৯৭২৪৮ জন লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে হোজাই এবং কাছাড়ে যথাক্রমে ৭৮১৫৭ এবং ৫১৩৫৭ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত বৃষ্টিতে ২০টি জেলার ৪৬টি রাজস্ব বিভাগের মোট ৬৫২টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর পাশাপাশি সাত জেলায় গড়ে ওঠা প্রায় ৫৫টি ত্রাণ শিবিরে বন্যা দুর্গত এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া লোকজনকে সরিয়ে রাখা হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত মোট ৩২ হাজার ৯৫৯ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দুর্গত এলাকায় ১২টি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রও স্থাপন করা হয়েছে।
আসামে বৃষ্টিজনিত বন্যার পর স্থানীয় জনগণ ছাড়াও বন্যাকবলিত এলাকায় ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ), স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এসডিআরএফ), ফায়ার ও জরুরী পরিষেবাগুলি উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় অনেক জেলায় ১৬টি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙেছে। এতে অনেক এলাকায় রাস্তা, সেতু ও ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে, গুয়াহাটিতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে (এনএফআর) একটি রিলিজ জানিয়েছে যে গত দুই দিন ধরে দিমা হাসাওতে লুমডিং-বদরপুর সেকশনে ট্র্যাকে ভূমিধস এবং জলাবদ্ধতার কারণে আটকা পড়া দুটি ট্রেনের প্রায় ২৮০০ যাত্রীকে উদ্ধার করার কাজ গতকাল অবধি চলছে।
No comments:
Post a Comment