সরকারের অষ্টম বর্ষপূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর জীবনের মজার ঘটনা জানলে অবাক হতে হবে

 ২৫ জুন ১৯৭৫, যে তারিখে রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন আলী আহমেদ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সুপারিশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন।  এই জরুরি অবস্থা পরবর্তী ২১ মাস স্থায়ী হয়েছিল।  এই সময়ে বিজেপির অটল বিহারী বাজপেয়ী এবং লালকৃষ্ণ আদবানি সহ অনেক বিরোধী নেতাকে জেলে যেতে হয়েছে।

 জরুরি অবস্থার সময় বিরোধী দলের নেতাদের সবচেয়ে বেশি টার্গেট করা হয়েছিল।  এর মধ্যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও রয়েছেন।  পুলিশের তৎপরতা এড়াতে তিনি ছদ্মবেশ ধারণ করেন।  পাগড়ি পরে এবং দাড়ি লাগিয়ে তিনি শিখ হয়েছিলেন।  সর্দারের ছদ্মবেশে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়েছিছেন।

 কেন্দ্রের মোদী সরকারের ৮ বছর পূর্ণ হল।  মোদী সরকারের অষ্টম বর্ষপূর্তিতে জেনে নিন জরুরি অবস্থার সময় প্রধানমন্ত্রী মোদীর জীবনের মজার ঘটনা

  সংগ্রাম ও আন্দোলনের সময় আরএসএস অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিল।  

 নরেন্দ্র মোদী, যিনি সেই সময়কালে আরএসএস প্রচারক ছিলেন, তাকেও সংস্থায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।  আন্দোলন, সম্মেলন, সভা, সাহিত্য বিতরণের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব মোদীকে দেওয়া হয়েছিল।  এই দায়িত্বে লাল জগদা, বসন্ত গজেন্দ্র গডকর সক্রিয়ভাবে তাঁর সঙ্গে কাজ করছিলেন।

   নিষেধাজ্ঞার পর সংগঠনটির বেশ কয়েকজন প্রচারককে গ্রেপ্তার করা হয়।  সেই সময় প্রবীণ আরএসএস নেতা কেশব রাও দেশমুখ, যিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কাজ করছিলেন, তাকেও গুজরাটে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।  স্কুটারে করে নাথ লাল জগদাকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী মোদী।

 নিজের গ্রেফতারের বিপদ টের পেয়ে অবশেষে একদিন সর্দারের রূপ ধারণ করেন তিনি। তিনি গুজরাট থেকে অন্যান্য রাজ্যে যাওয়া ট্রেনে রাখা কংগ্রেস সরকারের বাড়াবাড়ি সংক্রান্ত সাহিত্য ও নথিপত্র পেয়েছিলেন।  শুধু তাই নয়, তিনি কারাগারে নেতাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পৌঁছে দিতেন।  

 ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময়, জরুরি অবস্থার বহু বছর পরে, তিনি পাঞ্জাবে একটি সমাবেশে সর্দারের পোশাকে হাজির হন।

 জরুরি অবস্থার ৩৮ বছর পর, মোদী আবার সরদার হন, তবে নির্বাচনী প্রচারের জন্য।  ২০১৪ সালে পাঞ্জাবে অনুষ্ঠিত সমাবেশে, প্রধানমন্ত্রী মোদী আবার সর্দারের ছদ্মবেশে হাজির হন।  জরুরী অবস্থার সময় যেমন দেখা গেছে।