দেশে কেন গম রপ্তানি নিষিদ্ধ?

দেশের সরকার অবিলম্বে গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে।  শুক্রবার রাতে কেন্দ্রীয় সরকার এই তথ্য জানায়।  স্থানীয় মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার কথা বলে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।   বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম উৎপাদনকারী দেশ হল আমাদের দেশ।

 তথ্য প্রদান করে, কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে যে এই সময়ে এটি শুধুমাত্র রপ্তানি চালানের অনুমতি দেবে যার জন্য শুক্রবার বা তার আগে চিঠি দেওয়া হয়েছে।  এছাড়া অন্যান্য দেশের অনুরোধে রপ্তানির অনুমতি দেবে সরকার।

 ক্রমবর্ধমান খাদ্য ও শক্তির দাম এপ্রিলে দেশের বার্ষিক খুচরো মূল্যস্ফীতিকে আট বছরের সর্বোচ্চ ৭.৭৯ শতাংশে ঠেলে দিয়েছে।  ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির কারণে দেশে গমের দাম রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছেছে।  কিছু বাজারে, এটি প্রতি টন ২৫০০০ টাকায় পৌঁছেছে, যা সরকারের ন্যূনতম সমর্থন মূল্য ২০১৫০ টাকা থেকে অনেক বেশি।

 সরকার বলেছে যে এই পদক্ষেপ "দেশের সামগ্রিক খাদ্য নিরাপত্তা পরিচালনা এবং প্রতিবেশী এবং অন্যান্য দুর্বল দেশগুলির চাহিদাকে সমর্থন করার জন্য" করা হয়েছিল।

 সরকার প্রতিবেশী এবং অন্যান্য দুর্বল উন্নয়নশীল দেশগুলির খাদ্য নিরাপত্তার চাহিদা পূরণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেগুলি বিশ্বব্যাপী গমের বাজারে আকস্মিক পরিবর্তনের কারণে বিরূপভাবে প্রভাবিত হয় এবং পর্যাপ্ত গমের সরবরাহ অ্যাক্সেস করতে অক্ষম।

 সরকার বলেছে যে বিশ্বব্যাপী অনেক গমের দাম হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলস্বরূপ ভারত, প্রতিবেশী এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে।  রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের কারণে গমের আন্তর্জাতিক মূল্য প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে।  এ কারণে ভারত থেকে এর রপ্তানি বেড়েছে।  চাহিদা বৃদ্ধির কারণে স্থানীয় পর্যায়ে গম ও আটার দাম ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।

 গম সংগ্রহের জন্য সর্বনিম্ন সমর্থন মূল্য হল প্রতি কুইন্টাল ২০১৫ টাকা।  দেশে গম ও আটার খুচরা মূল্যস্ফীতি মার্চে ৭.৭৭% থেকে এপ্রিলে বেড়ে ৯.৫৯% হয়েছে।  এ বছর গমের সরকারি ক্রয় প্রায় ৫৫% কমেছে কারণ খোলা বাজারে গমের দাম এমএসপি থেকে অনেক বেশি।

 রাশিয়া এবং ইউক্রেন বিশ্বের দুটি বৃহত্তম গম সরবরাহকারী দেশ।   এছাড়াও, চীনে খারাপ ফসল, ভারতে গরমে এবং অন্যান্য দেশে খরা বিশ্বব্যাপী শস্য সরবরাহকে আরও প্রভাবিত করেছে।  

 বিশ্বব্যাপী ক্রেতারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী সরবরাহের ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করার জন্য ভারত থেকে গমের সরবরাহের উপর ব্যাঙ্কিং করছিলেন। আমাদের দেশ এ বছর রেকর্ড ১০ মিলিয়ন টন গম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল।  দেশের নিষেধাজ্ঞা বিশ্বব্যাপী দামকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে পারে।