হিন্দুধর্মে, বিয়ে মানেই পবিত্র বন্ধন। এই পবিত্র বন্ধনে সাত পাক ও সাত বচন দিয়ে বিয়েকে পাকাপাকি ভাবে মজবুত করা হয়। পাক নেওয়ার সময় বর ও কনে একে অপরকে সাতটি বচন দেয়। তবেই দুজন অপরিচিত মানুষ হয়ে ওঠে সারাজীবনের যাত্রার সঙ্গী। জেনে নিন এই বচনের এগুলোর গুরুত্ব কী?
প্রথম বচন:
প্রথম কনে এগিয়ে যায় এবং তার ভবিষ্যৎ জীবনসঙ্গীর কাছে বচন চায় যে, যখনই তুমি জীবনে কোনো তীর্থযাত্রা, যজ্ঞ , পূজো বা অন্য কোনও ধর্মীয় কাজ করবে, আমাকে সঙ্গে রাখবে।
দ্বিতীয় বচন:
কনে বরের কাছ থেকে আরেকটি প্রতিশ্রুতি নেয় যে আমি আমার বাবা মাকে যেভাবে সম্মান করে আসছি, আমি আমার জীবনসঙ্গীর বাবা মাকে ও পরিবারকে সেভাবে সম্মান করব। আমি ঘরের সাজসজ্জার যত্ন নেব।
তৃতীয় বচন:
কনে বরের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নেয় যে, আমি জীবনের স্তরে (যৌবন, বার্ধক্য) আপনাকে সঙ্গ দেব।
চতুর্থ বচন:
স্বামীর কাছ থেকে বিয়ের তিনটি প্রতিশ্রুতি নেওয়ার পর, বর চতুর্থ প্রতিশ্রুতিতে এগিয়ে আসে, এরপর স্বামী কনেকে প্রতিশ্রুতি দিতে বলে যে বিয়ের পর পরিবারের চাহিদা মেটানোর দায়িত্ব তাঁর।
পঞ্চম বচন:
গৃহস্থালির কাজ, বিয়ে ইত্যাদি, লেনদেন এবং অন্য কোনো কাজে ব্যয় করার সময় মতামত নিতে হবে।
ষষ্ঠ বচন :
কখনোই বর তার বৌকে অপমান করবেন না। এছাড়াও, জুয়া খেলা ইত্যাদি কোন বদ অভ্যাস থাকা যাবে না।
সপ্তম বচন :
বউই একমাত্র সঙ্গী হবে অন্য নারীদেরকে মায়ের মতো সম্মানের চোখে দেখবে।
No comments:
Post a Comment