কেদারনাথ যাত্রায় আরও দুই তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। হার্ট অ্যাটাককেই মৃত্যুর কারণ বলা হয়। চার ধামের মধ্যে কেদারনাথ ধামে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে, তবুও সতর্ক হয়নি স্বাস্থ্য দফতর। যাত্রা চলাকালীন এ পর্যন্ত ৪৪ তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
চারধামের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন যাত্রা হল বাবা কেদারনাথের ধাম। এখানে পৌঁছতে গৌরীকুন্ড থেকে ১৮ কিলোমিটারের খাড়া আরোহণে করতে হয়। বেশির ভাগ ভক্তই বিশ্বাস নিয়ে পায়ে হেঁটে যেতেই পছন্দ করেন। যার কারণে পথে তাদের স্বাস্থ্যের অবনতি হয় এবং সমস্যায় পড়তে থাকে। এর পাশাপাশি কেদারনাথ যাত্রা রুট থেকে ধাম পর্যন্ত অক্সিজেনের অভাবও তীর্থযাত্রীদের মোকাবেলা করতে হয়।
শুক্রবার কেদারনাথ যাত্রায় আসা গুজরাটের প্যাটেল ধনীশ ভাই (৩২ বছর) এবং পাটনার ভানু শঙ্কর প্রসাদ (৭১ বছর) হঠাৎ করেই খারাপ হয়ে যায়। পরে তাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ সম্ভবত হার্ট অ্যাটাক বলে মনে করছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
চিফ মেডিকেল অফিসার ডাঃ বিদেশ শুক্লা বলেছেন ৯১ জন যাত্রীকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে। তবে যাত্রায় এ পর্যন্ত ৯৩৫ জন যাত্রীকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি জানান, কেদারনাথ ধাম দর্শনে আগত ভক্তদের স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দ্রুত চিকিৎসা করা হচ্ছে। যার জন্য যাত্রা রুট থেকে কেদারনাথ ধাম পর্যন্ত চিকিৎসকদের মোতায়েন করা হয়েছে।
একই সময়ে, ডিএম ময়ুর দীক্ষিত জানিয়েছেন, কেদারনাথ যাত্রায় তীর্থযাত্রীদের তাদের পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে কেদারনাথ যাত্রায় আসার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, যাত্রার ব্যাপারে তীর্থযাত্রীদের ধৈর্য ধরতে হবে। অক্টোবর-নভেম্বর পর্যন্ত চলবে কেদারনাথ যাত্রা। এমতাবস্থায় ভক্তদের সংযম নিয়ে ভ্রমণ করা উচিৎ।
No comments:
Post a Comment