তুলসীর ক্রমাগত সেবন শরীরকে শক্তিশালী করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি শরীরে ভিটামিন এ এবং সি-এর ঘাটতিও পূরণ করে। যে সকল রোগে তুলসী সেবন খুবই উপকারী-
1. তাড়াতাড়ি কাশি এবং সর্দি।
2. দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথা।
3. চোখ ভারী হওয়া এবং চাপ।
4. বার্ধক্যজনিত দুর্বলতা
5. ডায়রিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্য
6. উচ্চ এবং নিম্ন রক্তচাপ
7. বিভিন্ন হৃদরোগ
8. স্থূলতা
9. অম্লতা
10. জ্বর
11. কিডনি রোগ
12. পাথর
মহিলাদের রোগ ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে তুলসী: মহিলাদের প্রসব-পরবর্তী রোগ যেমন জয়েন্টে ব্যথা, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, নড়তে থাকা দাঁত, পিঠে ব্যথা এবং তাড়াতাড়ি ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে তুলসীর চেয়ে কার্যকরী আর কোনো ওষুধ নেই। এটি প্রসবের পর শরীরকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। জরায়ুকে শক্তিশালী করে এবং ঋতুস্রাব নিয়ন্ত্রণ করে। তুলসীর ক্রমাগত সেবনে ব্রণ, ব্রণ ও ফোঁড়া দূর হয়।
চর্মজনিত রোগ এবং তুলসী: ব্রণ, ডায়রিয়া, চুল পড়া হলে তুলসীর ৪-৫টি পাতা ধুয়ে এক বা দুটি কালো গোলমরিচ চিবিয়ে খান।
তুলসী খাওয়ার উপায়: ৩০-৩৫টি তুলসী পাতা ধুয়ে পিষে নিন। এতে এক বা দুই চামচ মিষ্টি দই যোগ করে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি তিন মাস সকালে খালি পেটে খান। এই পেস্ট খাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা পর নাস্তা করুন। খেয়াল রাখবেন দই যেন একেবারে টক না হয়। যদি দইয়ের সঙ্গে খেতে না চান তাহলে এক বা দুই চামচ মধুতে ৩০ থেকে ৩৫টি তুলসী পাতা মিশিয়ে খান। সাধারণ রোগে দিনে একবার এই পেস্ট খাওয়াই যথেষ্ট। এই পেস্টের মাত্র ১/৪ ভাগ বাচ্চাদের দিন। মনে রাখবেন দুধে মেশানোর পর এই মিশ্রণটি কখনই শিশুদের দেবেন না।
No comments:
Post a Comment