রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের বিরুদ্ধে পিটিশনের শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট বুধবার একটি ঐতিহাসিক আদেশ দিয়েছে। আদালত কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারগুলিকে পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা না করা পর্যন্ত রাষ্ট্রদ্রোহের অধীনে নতুন মামলা দায়ের না করতে বলেছে। সেই সঙ্গে আদালত জানায় , যাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়েছে, সেই ব্যক্তিরাও জামিনে আসতে পারেন।
রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পরে, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু তার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছিলেন যে আমাদের ভারতীয় সংবিধানের বিধান এবং বিদ্যমান আইনগুলিকে সম্মান করতে হবে।
কিরেন রিজিজু আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর অভিপ্রায়ও আদালতকে জানানো হয়েছে। আমরা আদালত এবং এর স্বাধীনতাকে সম্মান করি। এই লক্ষন রেখাকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে।
বুধবার শুনানির সময়, আদালত স্পষ্টভাবে বলেছে যে কেন্দ্রীয় সরকারের এটি পুনর্বিবেচনা করা উচিত এবং এটি পুনর্বিবেচনা না হওয়া পর্যন্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের অধীনে এই ধারায় কোনও নতুন মামলা নথিভুক্ত করবেন না। এর পাশাপাশি যাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ রয়েছে তারা জামিনের জন্য আদালতে যেতে পারেন।
প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা বলেছেন – কেন্দ্রীয় সরকার এই আইন বিবেচনা করবে। আবেদনকারীরা বলেছেন, এই আইনের অপব্যবহার হচ্ছে। অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেছিলেন যে হনুমান চালিসা মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহের ধারা জারি করা হয়েছিল। এমতাবস্থায়, যতক্ষণ পর্যন্ত এটি পর্যালোচনা না করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত এই ধারায় মামলা নথিভুক্ত করা ঠিক হবে না।
কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টকে পরামর্শ দিয়েছে যে ভবিষ্যতে আইপিসির ধারা ১২৪এ অধীনে এফআইআরগুলি কেবল এসপি বা আরও উচ্চ পদের কোনও অফিসারের তদন্তের পরেই নথিভুক্ত করা উচিত। বিচারাধীন মামলাগুলিতে, আদালতগুলিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জামিন বিবেচনা করার নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে। আইনজীবী কপিল সিবাল, আবেদনকারীদের পক্ষে উপস্থিত হয়ে বলেন, দেশ জুড়ে ৮০০ টিরও বেশি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা নথিভুক্ত রয়েছে। তারমধ্যে ১৩০০০জন জেলে রয়েছে।
No comments:
Post a Comment