রাজ্যে সহিংসতার ঘটনার ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে। কখনও মুর্শিদাবাদ, কখনও মালদহ, কখনও বীরভূমে, কখনও উত্তর চব্বিশ পরগনায় আবার কখনও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় প্রতিনিয়ত বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা সামনে আসছে।
বগটুই হত্যাকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশে পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতা বেড়েছে। তা সত্ত্বেও প্রতিদিনই কমছেই না বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা। শনিবার, উত্তর 24 পরগনা জেলার রহড়ায় আবর্জনার স্তূপে পাওয়া একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। এতে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরের মৃত্যু হয়। সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
শনিবার সকালে রহড়া থানার পেছনে ময়লা-আবর্জনা তুলতে যান স্থানীয় ব্যক্তি মোহাম্মদ হামিদ। সেখানে তিনি একটি বাক্স দেখতে পান। তিনি সেই বাক্সটি নিয়ে আসেন, এ সময় ১৭ বছর বয়সী শেখ সাহিল দাদুর বালতির মধ্যে বাক্স দেখতে পায়, সে এটি খোলার চেষ্টা করলে তখনই বিস্ফোরণ ঘটে।
বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয় নাবালক। তাকে প্রথমে ব্যারাকপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে বিএন বোস মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বেড়েছে। পুরো এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। থানার পেছন থেকে বোমা কোথা থেকে এল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। ভোট-পরবর্তী সহিংসতার মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। একই সময়ে, বীরভূমের বগতুই গ্রামে গণহত্যার পরে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর থেকে অব্যাহতভাবে অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে তবে বোমার কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।
No comments:
Post a Comment