আমরা স্কুল, কলেজ, অফিস ইত্যাদিতে জুতো পড়ে থাকি। তবে বাড়ি ফিরে চটি পড়ি। একদিকে লেদারের স্যান্ডেল বা ডিজাইনার জুতো আর একদিকে হাওয়াই চটি। হাওয়াই চটিকে স্লিপারও বলা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এর বিভিন্ন নাম থাকতে পারে, কিন্তু দেশে আমরা সবাই একে হাওয়াই চটি বলে থাকি। কিন্তু আপনি কি জানেন, কখন এবং কেন এর নাম হয়েছে হাওয়াই চটি?
দুটো ফিতার নকশা অনাদিকাল থেকে চলে আসছে হাওয়াই চটিতে। শুধু দেশে নয়, চীন, জাপান, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের চটির পুরনো ছবি পাওয়া যায়। তবে প্রশ্ন হল কেন হাওয়াই চটি এমন নাম পেল।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, এই দুটো ফিতার স্যান্ডেলের নামের সাথে হাওয়াই যুক্ত হয়েছে, আমেরিকায় বর্তমান 'হাওয়াই দ্বীপ' এর কারণে। আসলে, এই দ্বীপে টি নামের একটি গাছ আছে, যেখান থেকে রাবারের মতো কাপড় তৈরি করে স্লিপার তৈরি করা হয়। শুরুতে এই কারণে এই স্যান্ডেলের নামের সাথে 'হাওয়াই' শব্দটি যুক্ত হয়ে 'হাওয়াই চটি ' হয়। যদিও কিছু রিপোর্ট অনুসারে, হাওয়াই শব্দটি বাতাসের মতো হালকা হওয়ার কারণে এর নামের সাথে যুক্ত হয়েছিল।
এর ইতিহাস সম্পর্কে বলা হয় যে, ১৮৮০ সালে জাপানের গ্রাম থেকে শ্রমিকদের কারখানা, কলকারখানা এবং মাঠে কাজ করার জন্য আমেরিকার হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাদের সাথে চটির এই নকশা হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে আসে ।
১৯৩২ সালে, মুচি এলমার স্কট হাওয়াইয়ান দ্বীপপুঞ্জে চপ্পল তৈরি করতে ব্যবহৃত রাবারি ফ্যাব্রিককে জাপানি ডিজাইনে ঢালাই করেন এবং তখন হাওয়াইয়ান স্লিপারের অস্তিত্ব আসে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, 'প্রথম বিশ্বযুদ্ধ' এবং 'দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ'-এর সময় আমেরিকান সৈন্যরা প্রথম চটি ব্যবহার করেছিল।
হাওয়াই চটি নাম বিখ্যাত করার পিছনে ভূমিকা হল ব্রাজিলিয়ান ফুটওয়্যার ব্র্যান্ড। ১৯৬২ সালে, Havaianz রাবারের স্লিপার চালু করে। এগুলি ছিল নীল ডোরাকাটা সাদা-নীল রঙের একই স্যান্ডেল, যার ছবি হাওয়াই চপ্পালের নাম শুনলেই আমাদের মনে ভেসে ওঠে। দেশে ঘরে ঘরে এয়ার স্লিপার পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে বাটা কোম্পানির ভূমিকা বিবেচনা করা হয়।
No comments:
Post a Comment