গ্রহের অবস্থার শুভ-অশুভ প্রভাব ব্যক্তির জীবনে দেখা যায়। তাই জীবনে গ্রহের দুর্বল অবস্থান মানুষের জীবনে খারাপ প্রভাব ফেলে। এ কারণে একজন ব্যক্তি নানা ধরনের শারীরিক ও আর্থিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যায়। জ্যোতিষশাস্ত্রে এমন অনেক প্রতিকারের কথা বলা হয়েছে, যা মানুষের জীবনে নানা ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
জ্যোতিষশাস্ত্রে এমন অনেক প্রতিকার দেওয়া হয়েছে, যার কারণে ব্যক্তির কুণ্ডলীর গ্রহগুলি শান্ত হয় এবং তারা শুভ ফল দেয়। একইভাবে ঘুমানোর আগে বালিশের নিচে কিছু জিনিস রাখলে একজন মানুষ তার ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে। আসুন জেনে নেই এই ব্যবস্থাগুলো সম্পর্কে।
হলুদ:
হিন্দু ধর্মে যেকোনও শুভ কাজে হলুদ ব্যবহার করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, গুরু বৃহস্পতি দেবকে হলুদের অধিপতি বলে মনে করা হয়। বৃহস্পতি যদি কোনও ব্যক্তির জন্মকুণ্ডলীতে দুর্বল থাকে তাহলে একটি কাপড়ে হলুদের গিঁট বেঁধে বালিশের নিচে রাখলে গুরু শক্তিশালী হয়। এতে ব্যক্তি জীবনে চাকরি পায়, ব্যবসায় সফলতা পায়। ব্যক্তির ভাগ্য উজ্জ্বল হয়।
রূপালী মাছ:
কুণ্ডলীতে শুক্র গ্রহকে শক্তিশালী করার জন্য এমন অবস্থায় বালিশের নিচে রুপার তৈরি মাছ রাখুন। এছাড়াও, বিছানার নীচে জল ভর্তি একটি রূপার পাত্র রাখুন। এটি জন্মকুণ্ডলীতে শুক্র গ্রহকে শক্তিশালী করে। এটি জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি, ঐশ্বর্য এবং সৌন্দর্য নিয়ে আসে।
লোহার রিং:
শনি গ্রহকে শক্তিশালী করার জন্য একটি লোহার আংটি শুভ। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, শনি দুর্বল হলে একজন ব্যক্তিকে লোহার আংটি পরার পরামর্শ দেওয়া হয়। একই সময়ে, শনির আশীর্বাদ পেতে এবং গ্রহকে শক্তিশালী করতে বালিশের নীচে লোহার আংটি রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।
লাল চন্দন:
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, কুণ্ডলীতে গ্রহের রাজা সূর্যকে শক্তিশালী করতে লাল চন্দন তামার পাত্রে জল ভরে বিছানার নীচে রাখলে উপকার পাওয়া যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে এই জল পান করুন। সেই সঙ্গে বালিশের নিচে লাল রঙের চন্দনও রাখতে পারেন। এটি সূর্য গ্রহকে শক্তিশালী করে।
সোনার গয়না:
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, মঙ্গল ও বুধ গ্রহের সেনাপতিকে শক্তিশালী করতে সোনার গহনার প্রতিকার উপকারী। এ জন্য রাতে ঘুমানোর আগে সোনার গয়না যেমন কানের দুল, ব্রেসলেট, আংটি বালিশের নিচে রেখে ঘুমান। এটি ব্যবসা এবং কাজের ফাংশন তৈরি করা শুরু করবে।
No comments:
Post a Comment