৪০ বছরে, পুরুষরা বয়সের সেই পর্যায়ে থাকে, যখন তারা ভবিষ্যত সুরক্ষিত করার বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়। শরীরের শক্তি কমতে থাকে, কিন্তু দায়িত্বের বোঝা বাড়ে। পুরুষদের তাদের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হওয়া দরকার।
প্রায়শই মহিলাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়, তবে পুরুষরাও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। ৪০ বছর বয়সে পৌঁছলে পুরুষদের শরীরও সংবেদনশীল হয়ে ওঠে।
বয়সের এই পর্যায়ে, পারিবারিক দায়িত্বের মধ্যে, তারা ভবিষ্যত সুরক্ষিত করার চিন্তা করতে শুরু করে। শরীরের শক্তি কমতে থাকে এবং দায়িত্বের বোঝা বাড়ে। এর ফলে মানসিক চাপ বেড়ে যায় এবং সব রোগ তাদের ঘিরে ধরে। আপনিও যদি ৪০-এ পৌঁছতে চলেছেন, তাহলে এখনই সতর্ক হোন, যাতে আপনি সময়ের আগে ঘটতে পারে এমন সমস্ত সমস্যা থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেন।
ডায়াবেটিস:
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ওজনও বাড়তে থাকে। এ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। স্ট্রেস আরও ঝুঁকি বাড়ায়। খুব সতর্ক থাকতে হবে। এর পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
পেশীর দূর্বলতা:
আমাদের শরীরের নড়াচড়া হয় মাংসপেশির কারণে। পেশী দুর্বল হওয়ার কারণে ফ্র্যাকচারের সম্ভাবনাও বহুগুণ বেড়ে যায়। তাদের শক্তিশালী করতে ব্যায়াম ও ভালো খাবার প্রয়োজন।
চাপ এবং বিষণ্নতা:
৪০ বছর বয়সে, পুরুষরা আর্থিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে শুরু করে। বর্তমান সময়ে চাকরির চাপও অনেক বেড়ে গেছে। এ কারণে তারা মানসিক চাপ ও মেজাজ পরিবর্তনে ভোগেন। প্রকৃতিতে বিরক্তি আসতে থাকে।
এই সময় পুরুষরা তাদের কর্মজীবনে উচ্চ চাপের সম্মুখীন হয়। বাচ্চাদের ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তা শুরু হয়। অন্যদিকে, পুরুষরা তাদের কষ্টগুলি হুট করে শেয়ার করতে পছন্দ করেন না। এমতাবস্থায় তাদের মনে শ্বাসরোধ হয়। এ কারণে অনেক সময় তারা ডিপ্রেশনেও চলে যায়। মন সুস্থ রাখতে নিয়মিত যোগব্যায়াম ও ধ্যান করতে হবে।
No comments:
Post a Comment