আপনি যদি কোনো শুভ কাজ করতে যাচ্ছেন এবং বিড়াল যদি রাস্তা কাটে, তাহলে আপনার মনে কাজ নষ্ট করার চিন্তা আসতে শুরু করে। আমাদের প্রবীণরা বিড়ালের পথ কাটাকে অশুভ বলে মনে করেন। মনে করা হয় বিড়াল রাস্তা পার হলে সেই কাজ নষ্ট হয়ে যায়।
কেউ কেউ বিড়ালের পথ পার হওয়ার পর কিছুক্ষণ থেমে অন্য কারো পথ পার হওয়ার অপেক্ষায় থাকে। কথিত আছে যে এই অশুভের সাথে শেষ হয় এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো যায়।
এ ধরনের ধর্মীয় শাস্ত্রে বিড়াল সংক্রান্ত অনেক শুভ ও অশুভ বিশ্বাস মানুষের মনে গেঁথে থাকে। আসুন জেনে নিই বিড়াল সংক্রান্ত শুভ ও অশুভ বিষয়ের লক্ষণ সম্পর্কে।
বিড়ালটি পূর্বপুরুষদের সাথেও যুক্ত এবং এটি কালো শক্তির প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়। বাস্তু অনুসারে, বিড়ালের পথ কাটা তখনই অশুভ বলে বিবেচিত হয় যখন বিড়াল বাম দিকের পথ অতিক্রম করে ডানদিকে যায়। আর যখন বিড়ালটি ডান থেকে বাম দিকে আসে তখনই বিড়ালের পথ অতিক্রম করা তখন শুভ বলে ধরা হয়।
একটি বিড়াল রান্নাঘরে এসে দুধ পান করা একটি সাধারণ ঘটনা, তবে আমরা যদি বাস্তু দেখি, তাহলে শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে বিড়াল যদি ঘরে রাখা দুধ পান করে তা অশুভ, এতে বাড়িতে অর্থের অভাব হতে পারে।
অন্যদিকে, বিড়াল যদি ঘরে মল ত্যাগ করে তবে তাও অশুভ বলে মনে করা হয়। বাস্তু অনুসারে, বাড়িতে বিড়ালের মলত্যাগ হলে অপ্রীতিকর কিছু হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে বা বাড়ির কাউকে অসুস্থও করে দিতে পারে।
বাস্তু অনুসারে, আলোর উৎসব দীপাবলির রাতে যদি কোনও বিড়াল ঘরে আসে তবে এটি একটি শুভ লক্ষণ। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এতে মা লক্ষ্মীবাড়িতে আসেন এবং সারা বছর টাকা আসতে থাকে। বাড়িতে যদি একটি বিড়াল একটি সন্তানের জন্ম দেয়, এটিও ভাল বলে মনে করা হয়।
No comments:
Post a Comment