দেশের ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং শক্তিশালী। এখানে রাজা-সম্রাটদের প্রাসাদ ও দুর্গের পরিচয় সারা বিশ্বে বিখ্যাত। এগুলোর মধ্যে এখনও বহু প্রাসাদ ও দুর্গের ধ্বংসাবশেষ এখনও রয়েছে, যা সেই সময়ের শক্তির কথা বলে। এসব দুর্গের খোদাই ও নির্মাণের জন্য এগুলো দূর-দূরান্তে আলোচিত।
এখন অনেক দুর্গ আছে যেখানে দাবী করা হয় যে এটি ভূতুড়ে। মানুষ প্রায়ই এখানে যেতে ইতস্তত বোধ করে। এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে দিনের বেলা যেতে কোনো সমস্যা হয় না, কিন্তু অন্ধকার নেমে এলেই সেখান থেকে চলে যাওয়াই শ্রেয় বলে মনে করে মানুষ। তা না হলে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
মহারাষ্ট্রের পানভেল এবং মাথেরানের মধ্যে অবস্থিত প্রবালগড় দুর্গ রয়েছে। দাবি করা হয় এই দুর্গটি ভুতুড়ে অর্থাৎ এখানে ভূতের বাস। এই দুর্গ একবার দেখলেই বোঝা যায় এর নির্মাণে কত অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এই দুর্গটি প্রায় ২৩ শত ফুট উঁচু একটি খাড়া পাহাড়ের উপর নির্মিত।
যদিও এত উচ্চতায় থাকার কারণে এখানে খুব কম লোক আসে, কিন্তু যারা আসে তারা অন্ধকার হওয়ার আগেই চলে যায়। তা না হলে এখানে তেনাদের দেখার ভয় ও জীবন সমস্যায় পড়ার ভয় থাকে।
এই দুর্গটি কালবন্তী নামে পরিচিত। এই দুর্গের নাম আগে ছিল মুরঞ্জন। পরবর্তীতে শিবাজি এই দুর্গের নাম পরিবর্তন করে রানী কলাবতীর নামে নামকরণ করেন এবং নামটি অবনতি হয়ে কালবন্তী হয়।
এখানে ওঠার জন্য শুধু সিঁড়ি আছে। সাপোর্টের জন্য দড়ি ও রেলিং নেই। ওঠার সময় যদি কারো পা পিছলে যায়, তাহলে তার শরীর সোজা খাদে।
এটি এত উচ্চতায় নির্মিত যে কেউ নিরাপদে উপরে উঠলে এখান থেকে কর্নাল, চান্দেরি, মাথেরান এবং ইরশাল দেখতে পাওয়া যায়।
এছাড়াও এখান থেকে মুম্বাইয়ের কিছু জায়গাও দেখা যায়। আরোহণের সময় পড়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে বলে আলোচিত। মনে করা হয় যে তাদের আত্মা এখানে ঘুরে বেড়ায় তাই রাতে এখানে থাকা ঠিক নয়।
No comments:
Post a Comment