পাকিস্তানের চমন টানেলের ষড়যন্ত্র ফাঁস হল। অমরনাথ যাত্রাকে ভয় দেখানো এবং মাদক-সন্ত্রাস বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে এটি সুড়ঙ্গ খনন করা হয়েছিল। সুড়ঙ্গটি আবিষ্কার করেছে বিএসএফ। পাকিস্তানের পেশাদার ইঞ্জিনিয়ারদের সহায়তায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সন্ত্রাসীরা এই টানেলটি তৈরি করেছিল। গত দেড় বছরে বিএসএফের হাতে ধরা পড়ল এটি পঞ্চম টানেল।
সীমান্তের সাম্বা সীমান্তের কাছে ভারতীয় সীমান্তের চক ফকিরা পোস্টের কাছে এই সুড়ঙ্গটি ধরা পড়ে। এই সুড়ঙ্গটি এত সুন্দরভাবে খনন করা হয়েছে যে সাধারণ সন্ত্রাসীরা এটি খনন করতে পারে না। বুধবার সন্ধ্যায় সাম্বা সেক্টর এলাকায় যখন নিয়মিত তল্লাশি চলছিল তখন সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী এই টানেলের কথা জানতে পারে। এই সুড়ঙ্গের মুখ এমনভাবে ঢেকে রাখা হয়েছিল যে সুড়ঙ্গটি সহজে সনাক্ত করা না যায়।
প্রাথমিক তদন্তে, বিএসএফ জানতে পারে যে এই সুড়ঙ্গটি শুরু হয়েছে পাকিস্তান সীমান্তে পাকিস্তানি সেনা চৌকি চমন খুর্দ ফিয়াজের কাছে, যা সেখান থেকে প্রায় ৯০০ মিটার দূরে। এই টানেলটি ভারতীয় সীমান্তের মধ্যে এসে ১৫০ মিটার দূরত্বে বেরিয়ে এসেছে।
বিএসএফ বিশ্বাস করে যে এই টানেলটি নতুনভাবে খোদাই করা হয়েছে জম্মুতে শুরু হওয়া অমরনাথ যাত্রায় সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য সীমান্তের ওপার থেকে সন্ত্রাসী ও গোলাবারুদ পাঠানোও এর উদ্দেশ্য হতে পারে। এ ছাড়া মাদক সন্ত্রাস বাড়ানোও এই টানেলের উদ্দেশ্য হতে পারে।
এই সুড়ঙ্গটি এতটাই বড় যে একজন মানুষ অস্ত্র নিয়ে বা মাদকের বস্তা ভর্তি স্বচ্ছন্দে প্রবেশ করতে পারে। যে পদ্ধতিতে সুড়ঙ্গটি এসেছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, সন্ত্রাসীরা নিশ্চয়ই পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এই সুড়ঙ্গ খনন করেছে পেশাদার ইঞ্জিনিয়ারদের নির্দেশে।
বিএসএফের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, গত দেড় বছরে এটি পঞ্চম সুড়ঙ্গ, ধরা পড়ল। এটাও মজার বিষয় যে এই টানেলটি এমন জায়গায় খনন করা হয়েছিল যেখানে বেলে দো-আঁশ মাটির ঢিবি রয়েছে। এই সুড়ঙ্গ দিয়ে সন্ত্রাসীরা ভারতীয় সীমান্তে ঢুকেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
টানেল থেকে বিপদের আশঙ্কায় বিএসএফ-এর খবরে সমস্ত গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থাকে সতর্ক করা হয়েছে এবং আশপাশের এলাকায় নিবিড় তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে। যাতে জানা যায় সাম্প্রতিক সময়ে এই এলাকায় কোনও পাকিস্তানি এসেছে কীনা।
No comments:
Post a Comment