উত্তর দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন তার নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় সমীক্ষা শুরু করেছে। এ সময়ের মধ্যে দখল পাওয়া গেলে তা অপসারণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এর আওতায় রোহিনীতে রাস্তার পাশের বস্তি উচ্ছেদ করা হয়। মদনপুর খদ্দরেও কিছুক্ষণের মধ্যেই দখল উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু হবে। বর্তমানে সেখানে উপস্থিত লোকজন ঘেরাওয়ের বিরোধিতা করছেন।
একই সঙ্গে দিল্লির রোহিণী এলাকায় কে এন কাটজুর ২ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কে যে সমস্ত অবৈধ দখল ছিল তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বুলডোজারের সাহায্যে রাস্তার পাশের বস্তি অপসারণের কাজ চলছে। প্রথমে এমসিডির কর্মচারীরা হাত দিয়ে এসব বস্তি ভেঙ্গে ট্রাকে মালামাল ভর্তি করে। বোদে বুলডোজার আসার পর বাকি জায়গাগুলো উচ্ছেদ করা হয়।
এছাড়া মদনপুর খদ্দর এলাকায়ও বুলডোজারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই ঘেরা এলাকায় কিছু লোককে এই কাজের বিরোধিতা করতে দেখা যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন হট্টগোল সৃষ্টি করে রাস্তা বন্ধ করে দেন। বুলডোজার থামাতে সড়কে পাথর ও লোহার রড রাখা হয়েছে। মদনপুরের লোকজন বলছেন, এভাবে তাদের ঘরবাড়ি ও জিনিসপত্র ভাঙা একেবারেই অন্যায়। পরে সবাই রাস্তায় এসে তোলপাড় শুরু করে তাঁরা।
এদিকে আপ নেতা আমানতুল্লাহ খান ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেছিলেন যে 'কাঞ্চন কুঞ্জে বিজেপির নির্দেশে, এমসিডি গরিবদের বাড়িতে বুলডোজার চালাচ্ছে, আধিকারিকদের সাথে কথা চলছে। আমার প্রতিশ্রুতি আমি কোনও গরীবকে গৃহহীন হতে দেব না।'
রাজধানীতে দখল উচ্ছেদের অভিযান জোরদার করেছে এমসিডি। দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তবে কীভাবে ঘটল, কার গাফিলতি, কারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এই দখলের জন্য কে দায়ী, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমসিডি, যেটি দখল অপসারণের জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে, এখন এই তদন্ত পরিচালনার কথা বলছে।
No comments:
Post a Comment