রাজধানী দিল্লিতে বিপুল পরিমাণ ভেজাল ঘি উদ্ধার করল দিল্লি পুলিশ।
রাজধানী দিল্লিতে বিক্রি হওয়া বিপুল পরিমাণ ভেজাল ঘি উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ। এই ভেজাল ঘি ব্যবসায় জড়িত ২ জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।
তাদের কাছ থেকে ১২৫০ কেজি ঘি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ডিসিপি আউটার সমীর শর্মা বলেছেন যে দিল্লিতে ব্যাপক হারে নকল বা ভেজাল ঘি বিক্রি হচ্ছে।
বাইরের জেলার ডিসিপি সমীর শর্মা জানিয়েছেন, অপারেশন সেল খবর পেয়েছিল যে মঙ্গোলপুরী এলাকায় নকল ঘি বিক্রি হচ্ছে। তথ্যের ভিত্তিতে একটি দোকানে অভিযান চালিয়ে আড়াইশ প্যাকেট ভেজাল ঘি উদ্ধার করা হয়।
আরও তদন্ত করার সময়, পুলিশ কে বালাজি ট্রেডিং কোম্পানিতে অভিযান চালায়, যেখান থেকে ৭৫০টি বাক্স পাওয়া গেছে।
আনশুল ও অর্জুন নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আনশুল বালাজি ট্রেডিং কোম্পানি চালায় এবং অর্জুন আসল ঘির বাক্স থেকে অর্ধেক ঘি বের করে তাতে মিহি বা ডালডা মেশান। এর সাথে এতে সুগন্ধি মেশানো হয়।
তার অন্য সহযোগীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। আগে গাড়ি চালাতেন অর্জুন। এরপর তিনি এক ঘি ব্যবসায়ীর কাছে কাজ শুরু করেন এবং এখন অর্জুন গত কয়েক মাস ধরে ভেজাল ঘি তৈরি শুরু করেন। এই কাজের জন্য তিনি তার বাড়িতে একটি ইউনিট স্থাপন করেছিলেন। তিনি আসল ঘি দিয়ে ভেজাল করতেন।
ডিসিপি সমীর শর্মা দাবি করেছেন যে রাজধানী দিল্লিতে বিক্রি হওয়া দেশি ঘি প্রচুর পরিমাণে ভেজাল। এই দাবি করা হয়েছে কারণ যে কোম্পানি দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিল এবং সতর্ক করেছিল যে নকল ভেজাল ঘি বিক্রি হচ্ছে, সেই কোম্পানি পুলিশকেও জানিয়েছে যে রাজধানী দিল্লিতে প্রচুর পরিমাণে নকল ঘি বিক্রি হচ্ছে।
তাই গ্রাহকদেরও খুব সতর্ক হতে হবে। আপনি যখনই যে কোনও ঘি কিনবেন, তার প্যাকিংটিও যত্ন সহকারে বিবেচনা করা উচিৎ , কারণ এর প্যাকিংয়ের সাথে হেরফের করার সময় এতে ভেজাল করা হয়। অনেক জায়গায় পুরো প্যাকিং নকল করে ভেজাল ঘি ভর্তি করে বিক্রি করা হয়।
নীরজ পাল জানান, গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামি গত ৬ মাস ধরে ভেজাল ঘি বিক্রির কাজ শুরু করে। এরা প্রতিটি ব্র্যান্ডের ভেজাল ঘি তৈরি করত। শুধু তাই নয়, দিল্লি জুড়ে প্রচুর পরিমাণে ভেজাল ঘিও সরবরাহ করা হয়েছে। প্যাকিংয়ে পার্থক্য থাকলে বুঝবেন ভেজাল।
No comments:
Post a Comment