জবলপুরের কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও ইস্পাত প্রতিমন্ত্রী ফাগ্গান সিং কুলাস্তে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে ছুটকা প্রকল্প থেকে বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসন, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন এবং এলাকার শিল্প উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।
এদিকে বিভাগীয় কমিশনার বি. চন্দ্রশেখর এবং কালেক্টর ডঃ ইলাইয়ারাজা টি সহ চুটকা প্রকল্পের আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে মন্ত্রী কুলস্তে বলেন, চুটকা প্রকল্পে বাস্তুচ্যুত মানুষদের যথাযথভাবে পুনর্বাসন করতে হবে। গ্রামবাসী পরিবেশে খোলামেলা চায়, যেখানে তারা তাদের সাথে গবাদি পশু ইত্যাদিও রাখতে পারে।
তাই পুনর্বাসন করার সময় এই বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে এবং পুনর্বাসনস্থলে স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি, রাস্তা, বিদ্যুৎ, জল এবং কর্মসংস্থান সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। পুনর্বাসন সাইটে এবং এর আশেপাশে জীবিকা নির্বাহের উপর নজর রাখা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, প্রথমে শিফটিং অনুযায়ী পরিকল্পনা তৈরি করে ব্যবস্থা নিন যাতে প্রকল্পের কাজ ভালো মতো চলে। এলাকার রাস্তার উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মন্ডলা, ডিন্ডোরি ও জবলপুরের অনেক গ্রামেই সড়ক যোগাযোগ নেই।
তাই যোগাযোগহীন গ্রামগুলোকে সড়কপথে সংযুক্ত করতে হবে। তিনি মান্ডলা জেলার তাতিঘাট বর্গি জলমগ্ন এলাকার গ্রাম এবং হলন প্রকল্পের জলমগ্ন এলাকার মধ্যে সড়ক যোগাযোগের ওপরও জোর দেন।
জবলপুরের পাহাড়িখেদা থেকে উমারিয়া, বারাবাতি থেকে বেলপানি রাস্তার পাশাপাশি সুন্দরপুর থেকে বাঘরাজির মধ্যে রাস্তার জন্য বন থেকে এনওসি নিয়েও প্রয়োজনীয় আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও জানান যে, জবলপুরে প্রচুর পরিমাণে খনিজ মজুদ রয়েছে। এখানকার লৌহ আকরিক অন্যান্য রাজ্যের সাথে রপ্তানিও হয়।
তাই সিহোরার কাছে হরগড়ে শিল্পোন্নয়ন করে এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হবে এ দিকে একটি বড় পদক্ষেপ। এ বিষয়ে তিনি খনি কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে প্রকল্পের খোঁজ-খবর নেন।
এলাকার উন্নয়নে ক্ষুদ্র, ও মাঝারি শিল্প গড়ে তোলা যেতে পারে। যা বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে পারে।
বৈঠকে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঘানসোর পর্যন্ত যোগাযোগের বিষয়ে আলোচনার সময় বর্গী বাঁধ এলাকায় হাই লেভেল সেতুর বিষয়ে ইতিবাচক কাজ করার কথা বলেন।
এ জন্য বাজেটেও বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। পুনর্বাসন প্রসঙ্গে কমিশনার বি চন্দ্রশেখর বলেন, যত তাড়াতাড়ি এই কাজ করা যায় ততই ভালো কারণ সময় বেশি লাগলে খরচ বহুগুণ বেড়ে যায়।
No comments:
Post a Comment