আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচন এবং বীরভূম গণহত্যার পরে, রাজ্য পুলিশ অস্ত্রের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। এই অভিযানের অধীনে, কলকাতা এসটিএফ ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলায় একটি মিনি বন্দুক কারখানার সন্ধান করেছে।
স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় একটি আধা-সমাপ্ত অস্ত্রসহ একটি বন্দুক তৈরির মেশিনও উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে এক মহিলা সহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই অ্যাকশনের জন্য কলকাতা এসটিএফ-এর ১৫জন সদস্যের একটি দল দুমকায় পৌঁছেছে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রমাগত অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে এবং এই মামলায় অনেককে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
কলকাতার স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) দল স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় ঝাড়খণ্ডের দুমকার মুফাসিল থানা এলাকার সারুভা গ্রামের একটি দোতলা বাড়ি থেকে একটি আধা-নির্মিত মিনি বন্দুক কারখানার সন্ধান পেয়েছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, বাংলার কলকাতা স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং দুমকা মুফাসিল থানার যৌথ অভিযানে এমএম পিস্তল ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে আধা-সমাপ্ত অস্ত্র সহ একটি বন্দুক তৈরির মেশিন উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ ক্রমাগত তদন্ত করছে। বন্দুক তৈরির কারখানায় কর্মরত অনেকেই পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। তথ্য অনুযায়ী, কলকাতায় রাজেন্দ্র প্রসাদ ওরফে মকবুল হুসেন নামে এক ব্যক্তিকে পিস্তলসহ গ্রেফতার করেছে কলকাতা টাস্কফোর্স। যার জেরে জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানা গেছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, মিনি বন্দুক কারখানায় কর্মরত পাঁচ জনকে এবং এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। পুলিশ তাদের কাছ থেকে এই চক্রের সাথে জড়িত অন্যান্য অপরাধী এবং এর মূল হোতাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছে।
ওই বাড়িতে পিস্তল তৈরির জন্য হাফ ডজন মেশিনও বসানো হয়েছে। পিস্তল তৈরির জন্য বিপুল পরিমাণ লোহার বারও উদ্ধার করা হয়েছে, যা থেকে হাজার হাজার পিস্তল তৈরি করা যেত।
পশ্চিমবঙ্গের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের অভিযানে বন্দুক তৈরির মেশিন সহ প্রচুর পরিমাণে সেমাই তৈরি দেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্রসহ কারখানায় কর্মরত ছয় শ্রমিককেও আটক করা হয়েছে।
বলা হচ্ছে, সব শ্রমিকই মুঙ্গের জেলার বাসিন্দা। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল গুন্ডাকে খুঁজছে পুলিশ। পুলিশ রবি কুমার নামে একজনকে খুঁজছে, যিনি কয়েকদিন আগে এখানে একটি বাড়ি তৈরি করে ব্যবসা শুরু করেছিলেন।
No comments:
Post a Comment