শ্রীলঙ্কায় মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকট চলছে। ক্রমেই দেশের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতি ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যায় মানুষ হিমশিম খাচ্ছে।
পেট্রোল ও ডিজেলের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। জ্বালানির অভাবে এমনিতেই নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এদিকে শ্রীলঙ্কা সরকার জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে।
বিভিন্ন যানবাহনের জন্য একটি বিভাগ তৈরি করা হয়েছে যে তারা তাদের গাড়িতে সর্বোচ্চ পরিমাণে তেল ভর্তি করতে পারে। সিলন পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (CPC) একটি জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, হালকা যানবাহনের জন্য জ্বালানি সীমা তৈরি করেছে।
গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের মুখে থাকা শ্রীলঙ্কায় জ্বালানি সংকট আরও গভীর হয়েছে। এখন শ্রীলঙ্কার নাগরিকরা একবারে দুই চাকার গাড়িতে মাত্র ১০০০ টাকা পর্যন্ত জ্বালানি পেতে পারেন।
একই থ্রি হুইলারের জন্য তেল ভর্তির সীমা ১৫০০ টাকা পর্যন্ত রাখা হয়েছে। এছাড়াও, চার চাকার যানবাহনের জন্য এই সীমা ৫০০০ টাকা রাখা হয়েছে অর্থাৎ চার চাকার গাড়ি এখন শুধুমাত্র পাঁচ হাজার পর্যন্ত জ্বালানি পূরণ করতে পারবে।
সরকারি কোম্পানি সিলন পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (সিপিসি) একটি বিবৃতি জারি করে এই জ্বালানি রেশনিং বাস্তবায়ন করেছে। তবে বাস, লরি ও বাণিজ্যিক যানবাহন এই ব্যবস্থার বাইরে রাখা হয়েছে।
এখন মাত্র পেট্রোল ও ডিজেল কিনতে পারবেন শ্রীলঙ্কায়, বাইক - ১০০০ টাকা, থ্রি হুইলার - ১৫০০ টাকা, গাড়ি/ভ্যান/জীপ - ৫০০০ টাকা
পেট্রোল পাম্পে দীর্ঘ লাইন থাকায় মানুষের মধ্যে লাগাতার বিক্ষোভ চলছে। শ্রীলঙ্কার রুপির মূল্য কম থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে।
একই সঙ্গে প্রতিদিন ব্যবহৃত জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী। কলম্বোর গল ফেস-এ জনগণ ক্রমাগত সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে।
বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগ দাবি করছে। একই সঙ্গে দেশে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য তাকে কারাগারে পাঠানোর দাবিও করছেন কেউ কেউ।
No comments:
Post a Comment