শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে পাবলিক ইমার্জেন্সি কার্ফুউ ঘোষণা করেছেন। এ জন্য রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের নিরাপত্তা ও অত্যাবশ্যকীয় সেবা সরবরাহের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার মানুষ রাস্তায় নেমে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। সহিংস বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
শ্রীলঙ্কা ভয়ানক অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবন। অবস্থা খারাপ থেকে খারাপের দিকে যাচ্ছে। পর্যটন শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির মূল ভিত্তি, যা করোনা মহামারীর কারণে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এতে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিয়েছে। দেশে জরুরী অবস্থা জারী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি জারী করা আদেশে বলা হয়েছে, দেশের নিরাপত্তা ও অত্যাবশ্যকীয় সেবা সরবরাহ রক্ষণাবেক্ষণের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া শ্রীলঙ্কার পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশে ৬ ঘণ্টার জন্য কার্ফুউ জারী করা হয়েছে। এই কার্ফুউ ২ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত থাকবে।
এর আগে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের বাসভবনের বাইরে জনগণ প্রচণ্ড বিক্ষোভ করে। এ সময় রাষ্ট্রপতির বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এই সহিংস বিক্ষোভে আহত হয়েছেন প্রায় ৫০ জন।
শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক মন্দার পর থেকেই দেশটি দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। দেশে বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছে। পেট্রোল পাম্পে ডিজেল অবশিষ্ট নেই।
শ্রীলঙ্কায় গণপরিবহন পরিষেবাগুলি খারাপভাবে প্রভাবিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment