নদীয়া জেলায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে টিএমসি পঞ্চায়েত নেতার ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি নদীয়া জেলার হাঁসখালি ব্লকের যেখানে ৪ এপ্রিল রাতে ঘটনাটি ঘটে এবং পরদিন সেই ছাত্রীর মৃত্যু হয়।
ঘটনার ৩-৪ দিন পর পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয় বলে জানা গেছে। নিহতের পরিবার জানিয়েছে, তাদের মেয়ে অভিযুক্তকে চিনত।
ছেলেটির জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তার বাড়িতে গিয়েছিল মেয়েটি। স্বজনদের অভিযোগ, ধর্ষণের আগে ওই কিশোরীকে মদ পান করিয়েছিল অভিযুক্তরা।
একই সঙ্গে নিহতের পরিবারের অভিযোগের পর অভিযুক্ত ব্রজ গোপাল গায়ালিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ব্রজ গোপাল গায়ালীর বাবা সমরেন্দ্র গায়ালী টিএমসির পঞ্চায়েতের সদস্য।
এদিন সোহেল গোয়ালিকে রানাঘাট ডিভিশনাল কোর্টে পেশ করে পুলিশ। যেখানে অভিযুক্ত যুবক নিজেকে নির্দোষ বলে।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর বিজেপি কর্মী বলছেন, এই প্রশ্ন কোনও দলের নয়, মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে। তিনি বলেন, "বিজেপি, তৃণমূল বা কংগ্রেসের সদস্য হোক... প্রশ্ন হল আমাদের মা-বোনেরা কতটা নিরাপদ? আজ যেখানে একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, সেই রাজ্যের মহিলারা নিরাপদে নেই।"
তিনি বলেন, "নারীরা কী নিরাপত্তা পাবেন না? মহিলারা কি রাস্তায় হাঁটতেও পারবেন না? মহিলারা কি পরিবারের কোনও সদস্যের বাড়িতেও যেতে পারবেন না? আজ প্রতিটি বাড়িতে যেভাবে ঘটনাটি ঘটেছে তা নিন্দনীয়।"
তিনি বলেন, সময়মতো চিকিৎসা পেলে হয়তো মেয়েটি বেঁচে যেত। "এই লোকদের এত টাকা আছে যে তারা প্রথমে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে এবং যখন সে মারা যায়, তারা পরিবারকে হুমকি দেয়"।
বিজেপি কর্মীরা জানান , " নিহতের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয় যে পুলিশের সামনে মুখ খুললে তাদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেবে। যার কারণে নিহতের পরিবার ৩-৪ দিন পর পুলিশকে খবর দেয় সেই পরিবার ।"
এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন বিজেপি কর্মীরা ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হাঁসখালী ব্লকে বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে এত কিছুর পর এখন ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতারা।
No comments:
Post a Comment