হাঁসখালি ও রায়গঞ্জে নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনার পর এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপে এক মহিলার সঙ্গে গণধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে।
নারী নির্যাতনের ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে। হাঁসখালি ও রায়গঞ্জের পর এবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার আরও এক মহিলার সঙ্গে গণধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে এবং প্রমাণ নষ্ট করতে কেরোসিন তেল ঢেলে তার গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
নির্যাতিতাকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । ওই মহিলা দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ব্লকের পাতিবুনিয়া দ্বৈত্যঘেরির বাসিন্দা। নামখানা থানায় অভিযোগ করা হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
অন্যদিকে হাঁসখালী ধর্ষণ মামলায় নাবালিকা ধর্ষণের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিজেপি। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করছেন বিজেপি সমর্থকরা।
হাঁসখালিতে নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় হাইকোর্টে পিআইএল দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত টিএমসি নেতার ছেলেকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহিলাদের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে নিশানা করছে বিজেপি।
গত শুক্রবার রাতে বাড়িতে একাই ছিলেন ৪০ বছর বয়সী ওই মহিলা। সকাল সাড়ে তিনটার দিকে ওই নারী টয়লেটে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন।
অভিযোগ, একই সময়ে পাঁচ যুবক এসে ওই মহিলাকে ধরে ফেলে। এরপর তিনি ওই নারীকে হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক বাড়ির দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যান। মহিলাকে বেঁধে এরপর সবাই মিলে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
ওই মহিলা দুই অভিযুক্তকে চিনতে পেরেছেন। এরপর গণধর্ষণের প্রমান লোপাট করতে ওই মহিলার গোপনাঙ্গে কেরোসিন ছিটিয়ে দেয়
পোড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
মহিলাটি সাহায্যের জন্য চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা সেখানে পৌঁছে যায়। এ সময় দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।
মহিলা প্রথমে লজ্জা ও ভয়ে পুরো বিষয়টি চাপা দেন। শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতেই নামখানা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রবিবার সকালে তাকে কাকদ্বীপ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
মহিলার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এদিন পুলিশের কাছে গণধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছে ওই মহিলার পরিবার। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
No comments:
Post a Comment