এদিন হনুমান জয়ন্তী এবং এটি সারা দেশে ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই উপলক্ষে গুজরাটের মরবিতে ভগবান হনুমানের ১০৮ ফুট মূর্তি উন্মোচন করেছেন।
এই সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী মানুষকে হনুমান জয়ন্তীর শুভেচ্ছা জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "পবনপুত্রের আশীর্বাদ সবার সাথে থাকুক।"
হনুমানজির চারধাম প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে চার দিকে চারটি মূর্তির মধ্যে এই মূর্তিটি দ্বিতীয়। এটি মোরবিতে বাপু কেশবানন্দের আশ্রমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এটি দেশের পশ্চিম দিকে স্থাপিত একটি মূর্তি। সিরিজের প্রথম মূর্তি সালে সিমলায় স্থাপন করা হয়েছিল। জানা যায়, মরবিতে বিশাল প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। এর দাম ১০ কোটি টাকা।
ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। একই সময়ে, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং অন্যান্য নেতারা অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বত্র বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রথমে মুম্বাইতে, এমএনএস প্রধান রাজ ঠাকরে মসজিদ থেকে লাউডস্পিকার অপসারণের দাবি করেছিলেন, তারপরে কর্ণাটকে মন্দিরের চারপাশ থেকে মুসলিম দোকানদারদের অপসারণ এবং মুসলমানদের বয়কটের মতো ঘটনাগুলি সামনে এসেছিল।
এতে উভয় ধর্মের মানুষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সেটা রাজস্থানের করৌলি, ব্যাঙ্গালোর বা মধ্যপ্রদেশের খারগোনের কথাই হোক না কেন। সর্বত্র পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে।
মহারাষ্ট্রে লাউডস্পিকার নিয়ে শুরু হওয়া বিতর্ক ধীরে ধীরে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। আলিগড়েও লাউডস্পিকারে হনুমান চালিসা পাঠ শুরু হয়েছে।
রাম নবমী মিছিলের সময় সংঘর্ষের কারণে রাজ্য সরকার ভোপালে সতর্কতা জারি করেছে। এখানে হনুমান জয়ন্তীতে শোভাযাত্রা নিয়ে বিশেষ শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
এসব শর্ত অনুযায়ী প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোনো কমিটি মিছিল করতে পারবে না। একই সঙ্গে পুলিশের ১৬টি শর্ত মানতে হবে মিছিলের আয়োজকদের।
যে ইটওয়ারা-বুধওয়া পুরানো শহরের অত্যন্ত সংবেদনশীল এলাকা। এখানে প্রশাসন কিছু নিয়মে মিছিল বের করার অনুমতি দিয়েছে।
No comments:
Post a Comment