বিবিসি উর্দু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অনাস্থা প্রস্তাবের আগে সেনাপ্রধান জেনারেল বাজওয়াকে অপসারণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
তবে এক সময় তাকে তা করা থেকে বিরত রাখা হয়। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত আইনগতভাবে রুখতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যে সময় ইমরান খান বৈঠক করছিলেন, সেই সময় হেলিকপ্টার থেকে দুজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন।
যার সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান। এর আগে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে সেনাবাহিনীতে নেতৃত্ব পরিবর্তনের পথ রুখতে আইনি প্রস্তুতি নেওয়া হয়। যাতে ইমরান এমন কোনও চেষ্টা করলে যাতে তাকে নস্যাৎ করা যায়।
তবে বিবিসির এই প্রতিবেদনকে অপপ্রচার ও মিথ্যা বলে অভিহিত করেছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। আইএসপিআর একে মিথ্যে বলে আখ্যায়িত করেছে।
এদিকে, বিবিসি তার খবরে অটল।
পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে এবং তিনি পাকিস্তানের ইতিহাসে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে অপসারিত প্রথম প্রধানমন্ত্রী। ইমরান ১৮ আগস্ট ২০১৮-এ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
এদিন পাকিস্তানে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা হবে, যখন ইমরান খানকে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর জাতীয় পরিষদ আবার বৈঠক করবে।
ইউনাইটেড বিরোধী দল থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হচ্ছেন শাহবাজ শরীফ। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন শাহবাজ শরিফ। এখানে, ইমরান খানের বিদায়ের পর, পিটিআই থেকে শাহ মেহমুদ কুরেশি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন।
No comments:
Post a Comment