পিসিওডি এর সমস্যাও গর্ভাবস্থায় বিলম্বের কারণ হতে পারে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা করালে শীঘ্রই গর্ভধারণ করা যায়।
PCOD হল মহিলাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এমন একটি রোগ, যা পিরিয়ড থেকে গর্ভাবস্থা পর্যন্ত অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে।
চিকিৎসার ভাষায়, PCOD অর্থাৎ পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ বা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম নামেও পরিচিত। জেনে নেওয়া যাক কী কী উপায়ে PCOD স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে...
গর্ভধারণের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। এতে গর্ভাবস্থায় সমস্যা হয়।
চেহারাকেও প্রভাবিত করে। চুল পড়া, ত্বকের সমস্যা এবং চর্বি বৃদ্ধির মতো সমস্যা হতে পারে।
হরমোনের মধ্যে সর্বদা উত্থান-পতন থাকতে পারে, যার সবই ঘুম, ক্ষিদে, স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে।
হৃদরোগ হতে পারে। তারা ক্লান্তি এবং শ্বাসকষ্ট দিয়ে শুরু করতে পারে।
পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত বা কম রক্তপাত এবং পিরিয়ড নিয়মিত না হওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
অতিরিক্ত এন্ড্রোজেন হরমোনও PCOD এর লক্ষণ হতে পারে। এটি একটি পুরুষ হরমোন, যা মহিলাদের শরীরে কম এবং পুরুষদের শরীরে বেশি তৈরি হয়।
ডিম্বাশয়ে অনেক ছোট পিণ্ড তৈরি হতে পারে। যার কারণে নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে।
PCOD কেন হয়?
PCOD বা PCOS হওয়ার অনেক কারণ আছে।
হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণেও PCOD এর সমস্যা হয়। বিভিন্ন কারণে হরমোন ওঠানামা করতে পারে। যেমন, সঠিক খাদ্যের অভাব। ঘুমানোর সময় এবং অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান,দীর্ঘ সময় ধরে ভুল ওষুধ খাওয়া ইত্যাদি।
চিকিৎসা:
সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে PCOD এর সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। চিকিৎসার পর গর্ভধারণে কোনও সমস্যা হয় না এবং একই সঙ্গে পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যাও পুরোপুরি সেরে যায়।
No comments:
Post a Comment